মঙ্গলবার, ১১ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

প্রস্তাবিত বাজেট বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সহায়ক হবে না : ইএবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি) সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রতিষ্ঠানসমূহের মূলধনি যন্ত্রাংশ ও নির্মাণ সামগ্রী আমদানিতে শুল্ক ০ শতাংশ থেকে ১ শতাংশ নির্ধারণ, স্টিল বিল্ডিং তৈরিতে ব্যবহৃত নির্মাণ সামগ্রীর ওপর আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ, জ্বালানি সাশ্রয়ী বাতির ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাবসহ নতুন বন্ড লাইসেন্স ফি ও নবায়ন ফি দ্বিগুণ করার বিষয়গুলো বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃস্টির জন্য সহায়ক হবে না। গতকাল এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ থেকে পাঠানো ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট প্রতিক্রিয়া বিষয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন তিনি। ইএবি সভাপতি বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে আসায় আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বৈদেশিক মুদ্রা আহরণে রপ্তানি খাতের প্রস্তাবনার প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতিফলন হয়নি। শিল্প টিকে থাকলে রাজস্ব আসবে, নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। গত অর্থবছরে পোশাক রপ্তানি ছিল ৪৭ বিলিয়ন ডলার, ২০৩০ সাল নাগাদ আমরা ১০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছি। সরকারের অব্যাহত সহযোগিতায় আমরা রপ্তানি বাড়াতে পারলে কর হার না বাড়িয়েও রাজস্ব বাড়ানো সম্ভব। এতে করে অর্থনীতি বেশি লাভবান হবে। এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি) সভাপতি রপ্তানি খাত শিল্পের জন্য সহায়ক নীতি সহায়তা দাবি জানান। এর মধ্যে অন্যতম, উৎসে কর ০.৫ শতাংশে নামিয়ে আনা এবং এটিকে চূড়ান্ত করদায় হিসেবে গণ্য করা এবং আগামী ৫ বছর পর্যন্ত অব্যাহত রাখা, রপ্তানি খাতে নীতি সহায়তার ওপর আয়কর অব্যাহতি, শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় সব পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট ও পরোক্ষ ট্যাক্স প্রত্যাহার, এইচ এস কোড ও ওজন সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন, ইআরকিউর আয়কর ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা, পোশাক শিল্পের ঝুট বা বর্জ্য সংগ্রহের ওপর ৭.৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার, রিসাইকেল ফাইবার সরবরাহের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার ইত্যাদি।

কাস্টমস আইন ২০২৩ এর ১৭১ ধারায় আমদানিকৃত পণ্যের এইচ এস কোড ভুল হলে ২০০ শতাংশ-৪০০ শতাংশ জরিমানার বিধান প্রত্যাহার করা, পরিবেশবান্ধব কারখানার অন্যতম উপাদান সোলার প্যানেল আমদানিতে শুল্কহার শূন্য শতাংশ করা।

মাংস প্রক্রিয়াজাত এবং রপ্তানি প্রসারের বিষয়ে তিনি বলেন, মাংস রপ্তানিতে ফ্রিজার ভ্যান এবং চিলার ভ্যান আমদানির ক্ষেত্রে মূলধনি পণ্য হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে শুল্ক অব্যাহতি দেওয়া, হিমায়িত চিংড়িতে ১০ শতাংশের পরিবর্তে ২০ শতাংশ নগদ সহায়তা প্রদান, একই সঙ্গে হিমায়িত মাছ রপ্তানিতে নগদ সহায়তা ৫ থেকে ১০ শতাংশে উন্নীত করা দরকার। চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণের রাসায়নিক আমদানির ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট রয়েছে। এই হার কমিয়ে সাড়ে ৭.৫ শতাংশ করা দরকার। এ ছাড়া চামড়াশিল্প নগরের কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগারের (সিইটিপি) জন্য রাসায়নিক ও যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধার কথা জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর