বুধবার, ১২ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

জ্বালানি চাহিদা মেটাতে দেশি প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহ্বান

চট্টগ্রামে বিপিসির আলোচনা সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

জ্বালানি চাহিদা মেটাতে দেশি প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহ্বান

বার্ষিক পরিকল্পনা অনুযায়ী জ্বালানি চাহিদা মেটাতে দেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)-এর পরিচালক অপারেশন্স অ্যান্ড প্ল্যানিং অনুপম বড়ুয়া। গতকাল চট্টগ্রামে বিপিসির প্রধান কার্যালয়ের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে অংশীদারদের সঙ্গে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

অনুপম বড়ুয়া বলেন, ‘জ্বালানি তেলে দেশি চাহিদা মেটানোর জন্য দেশি জ্বালানি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। তাদের জোগান বাড়াতে হবে। এতে জ্বালানি কেনা বাবদ যে ডলার খরচ হচ্ছে তা সাশ্রয় হবে; যা আমাদের জন্য স্বস্তিদায়ক। এটা করার জন্য আমাদের দেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে জোগান বৃদ্ধি করতে হবে। তাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। যাতে বিপিসি আরও বেশি করে জোগান পায়। দেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সব ধরনের সহায়তা করবে বিপিসি।’ তিনি বলেন, ‘দেশি উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। জ্বালানি সেক্টরে যে সমস্যাগুলো রয়েছে তা অংশীদারদের মাধ্যমে চিহ্নিত করে সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যে সমস্যা আমরা সমাধান করতে পারব, তা সমাধানের চেষ্টা চলছে। যেগুলো মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত, তা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে সমাধানের চেষ্টা চলছে। বর্তমানে আমাদের সঙ্গে যেসব অংশীদার আছে, তারা ক্রমান্বয়ে ভালো করছে। এটা অন্যদের উৎসাহ দেবে।’ জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল ও কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিপিসির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন, ম্যানেজার প্রকৌশলী আমেনা ফেরদৌসি, ডেপুটি ম্যানেজার তানজিন হোসেন। অংশীদারদের মধ্যে আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন সিলেট ফিল্ডস্ লিমিটেড, সুপার পেট্রোকেমিক্যাল লিমিটেড, পেট্রোম্যাক্স রিফাইনারি লিমিটেড, অ্যাকোয়া রিফাইনারি লিমিটেড ও পারটেক্স পেট্রো লিমিটেডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। আলোচনা সভায় বিপিসির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে নানান কারণ দেখিয়ে প্লান্টের উৎপাদন হ্রাস বা বন্ধ রাখা হচ্ছে। এতে বিপিসিকে বিরূপ পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। তাই প্লান্ট বন্ধ বা উৎপাদন হ্রাসের ন্যূনতম ৪০-৪৫ দিন আগে বিপিসিকে জানানোর অনুরোধ জানানো হয়। এ ছাড়া নিয়মিতভাবে সরবরাহ করা জ্বালানির পরিমাণ প্রতি মাসের ২০ তারিখের মধ্যে পরবর্তী দুই মাসের জ্বালানির পরিমাণ নিশ্চিত, কাঁচামাল আমদানিসংক্রান্ত তথ্য প্রদান, চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ, সেফটি স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ, ফোকাল পয়েন্ট নির্দিষ্টকরণ এবং চুক্তি শর্ত প্রতিপালনের অনুরোধ করা হয় অংশীদারদের কাছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর