মুক্তিযোদ্ধা পরিবারগুলোকে রাষ্ট্রীয় সুযোগসুবিধা থেকে বঞ্চিত করার জন্যই আদালতের রায়ের পরও সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোটা বাতিল করার আন্দোলন করা হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও প্রজন্ম, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল নামের একটি সংগঠনের নেতারা এ মন্তব্য করেছেন। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল, অপপ্রচার ও বাস্তবতা’ বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও প্রজন্ম, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি ও কোটার পক্ষে রিটকারী অহিদুল ইসলাম তুষার।
তারা বলেন, আদালতের রায়ের পরও আন্দোলনের নামে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারগুলোকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রল করা হচ্ছে। এদেশে নানা বৈষম্যের কারণে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। তবে এখন সরকারি চাকরির নিয়োগে এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে যেখানে যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, তাদের প্রজন্মের জন্য শুধু চতুর্থ শ্রেণির চাকরি দেওয়ার কোটাব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এই মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের প্রথম শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে দেখতে চায় না একটি গোষ্ঠী।
লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, আদালতের রায়ের পর ২০১৮ সালে ৪ অক্টোবর ৯ম-১৩তম গ্রেড এবং ২০২০ সালে ১ম-৮ম গ্রেডে কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তখন মিডিয়ায় প্রচার করা হয় শুধু প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে কোটা বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু পরিপত্রে দেখা গেল প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণির তিনটি গ্রেড ১১, ১২, ১৩তম পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে। যারা কোটার বিপক্ষে ছিলেন সেটা ছিল তাদের আন্দোলন, এখানে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু কোটার পক্ষে আদালত আমাদের দাবির বিষয়েও যখন রায় দিয়েছেন, সেই রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আদালতের রায়ের প্রতি অবমাননা করা হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন।
