রবিবার, ১৬ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা
খুলনায় মাঠে প্রশাসন

কিশোর গ্যাং ঠেকাতে কঠোরতা

♦ মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা ♦ কিশোর গ্যাংয়ে জড়িতদের অভিভাবককে থানায় এনে মুচলেকা দিতে হবে

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

কিশোর গ্যাং ঠেকাতে কঠোরতা

খুলনা নগরজুড়ে মাদকের ছড়াছড়ি। মাদক বেচাকেনায় আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে ঘটছে হত্যাকাণ্ড। একই সঙ্গে মাথা চাড়া দিয়েছে কিশোর গ্যাং। গত কয়েক মাসে হত্যা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধে তিন শতাধিক কিশোর গ্যাং সদস্য গ্রেফতার হয়েছে। পুলিশের অভিযানে প্রতিদিন গড়ে তিনটি মাদক মামলায় পাঁচ-ছয়জন গ্রেফতার হয়। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে তারা জামিনে বের হয়ে আবার জড়িয়ে পড়ছে অপরাধে। এ পরিস্থিতিতে মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও কিশোর গ্যাং নির্মূলে খুলনায় পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতারা ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এতে খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ওয়ার্ড ভিত্তিক সুধীজন নিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন, মাদক কারবারিদের পক্ষে থাকা আইনজীবীদের নিরুৎসাহ করা ও কিশোর গ্যাং এ জড়িতদের অভিভাবকদের থানায় ডেকে এনে মুচলেকা প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়।

নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, মাদক, সন্ত্রাস চাঁদাবাজি দলীয় আশ্রয়প্রশ্রয় ও প্রশাসনের ছত্রছায়া ছাড়া হতে পারে না। কে এদের শেল্টার দেয় চিহ্নিত করা হবে।

খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবিদ হোসেন বলেন, শহরের প্রবেশমুখে পথের বাজার পয়েন্টে মাদকের চালান ধরা পড়ে। কিন্তু সুনির্দিষ্ট মামলা হয় না। জবাবে কেএমপি কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক বলেন, মাদকসহ ধরা পড়ার পরও মামলা না হলে জড়িত পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হবে।

খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম কামাল বলেন, পুলিশকে দোষ দিয়ে দায় এড়ানো যাবে না। প্রতিটি ওয়ার্ডে ধারাবাহিক সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। জনপ্রতিনিধিদের মাদকবিরোধী অভিযানে সামনের সারিতে থাকতে হবে। কিশোর গ্যাং যদি থাকে তার বাবা-মাকে থানায় এনে মুচলেকা দিতে হবে।

জানা যায়, দৌলতপুর থানায় গত সাত মাসে ১০১টি মাদকের মামলা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে ১১৫ জন।

মেট্রোপলিটন এলাকার বাকি সাতটি থানার মাদকের চিত্র একই। নগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা বলেন, যদি ওয়ার্ড ভিত্তিক সুধীজনদের নিয়ে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা যায়। যদি পুলিশ নিয়মিত অভিযান চালায়, তাহলে মাদক নির্মূল সম্ভব হবে। শুক্রবার রাতে নগরীর রেলগেটে মাদকবিরোধী ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সর্বশেষ খবর