রবিবার, ১৬ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

আনুষ্ঠানিকতার আগেই বাজারে হাঁড়িভাঙা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

আনুষ্ঠানিকতার আগেই বাজারে হাঁড়িভাঙা

দেশব্যাপী সুপরিচিত রংপুরের হাঁড়িভাঙা আম আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারে আসার কথা ছিল ২০ জুন থেকে। কিন্তু প্রখর খরতাপের কারণে এ আম নির্ধারিত সময়ের আগেই বাজারে আসতে শুরু করেছে। তবে গত বছরের চেয়ে এবার দাম কিছুটা চড়া। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্লাস্টিকের ঝুড়িতে ফেরি করে আম বিক্রি করা হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি মৌসুমের প্রথম থেকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে এবার আমের সাইজ অন্যান্য বছরের তুলনায় ছোট হয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে খরা অবস্থা বিরাজ করায় আমের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। আম চাষিদের মতে, প্রচন্ড গরমে এবার নির্ধারিত সময়ের আগেই বাগানের আম পাকতে শুরু করে। নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সাইকেল অথবা ভ্যানে হাঁড়িভাঙা আম বিক্রি করছেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা। প্রতি কেজি আম প্রকারভেদে ৭০ থেকে ৯০ টাকা। গত বছর এ সময় এ আম বিক্রি হয়েছে ৪০-৫০ টাকা দরে। মিঠাপুকুরের আম চাষি হাবিবুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন জানান, বিরূপ আবহাওয়ার কারণে এবার নির্ধারিত সময়ের আগে গাছের আম পাকতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, কৃষি বিভাগের বেঁধে দেওয়া সময়ের আগে চাষিরা আম পাড়তে বাধ্য হচ্ছেন। জানা গেছে, মৌসুমের শুরুতে মিঠাপুকুরের পদাগঞ্জ, নগরীর বাস টার্মিনাল সংলগ্ন অস্থায়ী আমের বাজার, লালবাগসহ অন্য আমের বাজারগুলো ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে। বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা ব্যস্ত সময় পার করেন। এবার সবকিছুই আগাম হতে শুরু করেছে।

সূত্রমতে, প্রতি বছর শুধু হাঁড়িভাঙা আম বিক্রি করে রংপুরের চাষিরা ২০০ কোটি টাকার ওপর ঘরে তোলে। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, রংপুরে এবার প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে হাঁড়িভাঙার আবাদ হয়েছে। মৌসুমের শুরুতে ৪০ থেকে ৬০ এবং শেষ দিকে প্রতি কেজি ১৫০ টাকার বেশিতে বিক্রি হয়। কিন্তু এবারের চিত্র ভিন্ন। শুরুতেই দাম গত বছরের প্রায় দ্বিগুণ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক রিয়াজ উদ্দিন বলেন, এ আম ২০ জুন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারে পাওয়ার কথা। তবে চাষিরা তাদের পছন্দমতো সময়ে ফসল ঘরে তুললে কৃষি বিভাগ বাধা দিতে পারে না।

 

সর্বশেষ খবর