শিরোনাম
রবিবার, ১৬ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

২৩ বছরেও শেষ হয়নি বিচার

চাষাঢ়ায় বোমা হামলা

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

আজ ১৬ জুন, ২০০১ সালের এই দিনে চাষাঢ়া আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ২০ জন। আহত হয়েছিলেন সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও জেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি চন্দনশীলসহ অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী। তাদের অনেকে হাত-পা হারিয়ে এখনো পঙ্গুত্ব নিয়ে বেঁচে আছেন। তারা আজও দুঃসহ স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু ২৩ বছরেও এই মামলার বিচারকাজ শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বেঁচে যাওয়া নেতা-কর্মীরা।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আগের করা দুটি মামলায় ১৪ বছরে সাতবার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়। অষ্টমবার দুই মামলায় ২০১৩ সালের ২ মে ছয়জনকে অভিযুক্ত করে নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৯৪৭ পাতার চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। এই চার্জশিট থেকে তৈমূর আলম খন্দকারসহ ৩১ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। অভিযুক্ত ছয়জনের মধ্যে রয়েছেন নারায়ণগঞ্জে ক্রসফায়ারে নিহত যুবদলকর্মী মমিনউল্লাহ ডেভিডের ভাই শাহাদাতউল্লাহ জুয়েল, হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আবদুল হান্নান, ওবায়দুল্লাহ রহমান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু, ভারতের দিল্লি কারাগারে থাকা আনিসুল মোরসালিন ও মুহিবুল মোত্তাকিন। এর মধ্যে ২০১৭ সালে মুফতি আবদুল হান্নানের অপর এক মামলায় ফাঁসির রায় কার্যকর হয়। আনিসুল মোরসালিন ও মুহিবুল মোত্তাকিন ভারতের দিল্লি কারাগারে বন্দি, ওবায়দুল্লা রহমান ও কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু জামিনে রয়েছেন। কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন শাহাদাতউল্লাহ জুয়েল।

এদিকে ঘটনায় আরও ১ বছর পার অর্থাৎ ২০২৫ সাল হলেই বোমা হামলা ঘটনার দুই যুগ পার হবে। এ অবস্থায় আক্ষেপ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন বোমা হামলার মূল টার্গেট নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান।

 তিনি বলেন, আমি হতাশ এ কারণে যে, এ হামলার মূল আসামি ছিল চাষাঢ়া এলাকার উবায়দুল নামে এক ব্যক্তি। উবায়দুল সেদিন ঘটনাস্থলে এসে আমার টেবিল চাপড়িয়ে বলেছিলেন, ‘আমি কেন তার কাগজে স্বাক্ষর করব না?’ তার সঙ্গেই এসেছিলেন হরকাতুল জিহাদের দুই জঙ্গি সহোদর মোত্তাকিম ও মোরসালিন। এই উবায়দুলের কথা আমি মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে বারবার বলার পরেও তাকে সরে যেতে সহায়তা করা হয়েছে। ভারত থেকে দেশে এত বন্দি বিনিময় হয়। কিন্তু এত বড় নৃশংস বোমা হামলায় জড়িত দুই জঙ্গি মোত্তাকিম ও মোরসালিনকে কেন দেশে আনা হয় না?

মামলার বাদী ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা জানান, অচিরেই এ বিচারকার্য শেষ হবে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সান্ত্বনা পাবেন। মামলা শেষ প্রান্তে, অনেক প্রমাণ এসেছে। তাই বিচারকার্য বিলম্বিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। ২০২৫ সালের জুন মাসের আগেই বিচার কার্য শেষ হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর