সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে কষ্টের কথা জানিয়ে রহিমা আক্তার (২৪) নামে এক গৃহবধূ ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। মঙ্গলবার ভোরে রাজশাহীর চারঘাট পৌরসভার হলের মোড় এলাকার ভাড়া বাসায় তিনি গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন। গৃহবধূ রহিমা আক্তারের স্বামীর নাম সায়েম ইসলাম সাগর। তিনি একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন। তারা পুঠিয়া উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা। চারঘাট পৌর এলাকার ওই বাসায় তারা ভাড়া থাকতেন। ‘আত্মহত্যা’র সময় গৃহবধূ বাড়িতে একাই ছিলেন। ঈদের দিন বাবার বাড়ি ও শ্বশুরবাড়িতে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিলেন। ভালো লাগছিল না বলে স্বামী-সন্তানকে রেখে তিনি একাই ভাড়া বাড়িতে চলে আসেন এবং ভোররাতে ‘আত্মহত্যা’ করেন। চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান জানান, রহিমা আক্তারের বাবার সঙ্গে তার মায়ের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলে বাবা আরেকটি বিয়ে করেন। এতে রহিমা আক্তার একা হয়ে পড়েছিলেন। এ নিয়ে তিনি বিষণ্নতায় ভুগছিলেন। আগেও বেশ কয়েকবার তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। ওসি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার ভোরে ফেসবুক লাইভে আসেন ওই গৃহবধূ। এ সময় তিনি তার দুঃখের কথাগুলো বলেন। মা-বাবাকে নিয়ে অনেক কথা বলেছেন। ১১ মিনিটের লাইভে স্বামীর উদ্দেশে বলেন, ‘তুমি সন্তানের বাবা-মায়ের দায়িত্ব পালন করবে। আমি তোমাদের দুজনকে খুব ভালোবাসি। তোমার যখন চাকরি ছিল না, বেকার ছিলে, তখন আমি তোমাকে ছেড়ে যাইনি। এখন তোমার চাকরি হয়েছে। যে নতুন জীবনসঙ্গী হবে তাকে সময় দিয়ো।’ লাইভ শেষে গলায় ফাঁস নিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। পরে সকালে পুলিশ পাঠিয়ে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
