শিরোনাম
শুক্রবার, ২১ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

উচ্চশিক্ষিত ওয়াসিফের হাতেই শুরু করপোরেট খামার

ইমরান এমি, চট্টগ্রাম

উচ্চশিক্ষিত ওয়াসিফের হাতেই শুরু করপোরেট খামার

২০১৬ সালে শখের বসে দুটি গরু পালন শুরু করেন ওয়াসিফ আহমেদ সালাম। এক বছরে দুটি গরু বিক্রি করে প্রায় ২০ হাজার টাকা লাভ হয়েছিল। সম্ভাবনা দেখে ২০১৮ সালে প্রায় শতাধিক গরু নিয়ে এশিয়ান অ্যাগ্রো নামে বাণিজ্যিক খামার শুরু করেন ওয়াসিফ। শিল্পপতি পরিবারের সন্তান হিসেবে গরু পালনে যুক্ত হওয়ায় নানান কটু কথা শুনতে হয়েছিল তাকে। তবে থেমে যাননি তিনি। গড়ে তুলেছেন বিশাল খামার। বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি টাকারও বেশি। এবার কোরবানির জন্য খামারটিতে প্রস্তুত করা হয়েছে ৩০০ গরু।

এশিয়ান অ্যাগ্রোর স্বত্বাধিকারী ওয়াসিফ সালাম বলেন, যখন শুরু করি, তখন অনেক কটু কথা শুনতে হয়েছে। গরুর রাখাল, খামারি ও গরুওয়ালা এসব নামে অনেকে ডেকেছে। এখন অনেক শিল্পপতির সন্তান ও শিক্ষিত তরুণরাও এগিয়ে এসেছেন গরুর খামারে। এবার প্রায় তিন শতাধিক পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছি। ইতোমধ্যে ৮০ শতাংশ গরু বিক্রি হয়েছে। ১ লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকা দামের গরু আছে আমাদের খামারে। খাবারের দাম বৃদ্ধির কারণে এবার গত বছরের তুলনায় গরুর দাম বাড়তি বলে জানান তিনি।

লন্ডনের সিটি ইউনিভার্সিটি থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করা ওয়াসিফ আহমেদ সালামের হাত ধরে চট্টগ্রামে যাত্রা শুরু হয় করপোরেট খামারের। ওয়াসিফের সফলতা দেখে এ খাতে যুক্ত হয়েছেন চট্টগ্রামের অন্তত ২০ বনেদি পরিবারের সদস্যসহ শতাধিক শিক্ষিত তরুণ। তাদের মাধ্যমে চট্টগ্রামে খাতটি করপোরেটে রূপান্তর হয়েছে। এসব তরুণ চায় বিদেশে গবাদি পশুর মাংস রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে। ওয়াসিফ চট্টগ্রামের এশিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুস সালামের কনিষ্ঠ সন্তান।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গত কয়েক বছরে সীমান্ত দিয়ে গবাদি পশুর অবৈধ বাণিজ্য রোধ এবং ব্যাপকভাবে গবাদি পশু মোটাতাজাকরণের উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশ মাংস উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। গত কয়েক বছর ধরে এসব খামারের গবাদি পশু দিয়ে সারা বছর মাংসের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি কোরবানির চাহিদাও পূরণ হচ্ছে। ফলে এখন আর ভারত থেকে গরু আমদানি করতে হয় না। বর্তমানে দেশের প্রায় ৬৮ হাজারের বেশি নিবন্ধিত খামারে দুধ ও মাংস উৎপাদন হচ্ছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম জেলায় আছে ১৪ হাজার খামার। তবে বাণিজ্যিকভাবে শতাধিক বড় খামার গড়ে তুলেছেন চট্টগ্রামভিত্তিক বিভিন্ন শিল্প গ্রুপের সন্তান ও তরুণ উদ্যোক্তারা। এসব খামারে কোরবানির জন্য ৮ হাজার গরু প্রস্তুত করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর