রবিবার, ২৩ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

শেখ হাসিনা সেতুর কার্পেটিংয়ে ভাঙন

সড়কের দুই পাশে কমপক্ষে ১০০ স্থানের মাটি সরে গেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

শেখ হাসিনা সেতুর কার্পেটিংয়ে ভাঙন

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় মহিপুরে তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত শেখ হাসিনা সেতুর এক পাশের কার্পেটিংয়ে (প্যাটেনস্টোন ওয়ারিং কোড) ভাঙন দেখা দিয়েছে। শুক্রবার বিকালে সেতুর উত্তর প্রান্তে ঢালাইয়ের বেশ কিছু অংশ ভেঙে যায়। ফলে যানবাহন চলাচল করছে ঝুঁকি নিয়ে। অপরদিকে নগরীর বুড়িরহাট থেকে শেখ হাসিনা সেতু পেরিয়ে ১১ কিলোমিটার সড়কের দুই পাশে কমপক্ষে ১০০ স্থানের মাটি সরে গিয়ে সড়কে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। শনিবার সকালে সরেজমিন গিয়ে এসব দেখা গেছে।  সেতুটির তত্ত্বাবধায়নকারী প্রতিষ্ঠান এলজিইডি কর্তৃপক্ষ বলছে এতে সেতুর খুব একটা ক্ষতি হয়নি। দ্রুত মেরামত করা হবে। সড়কের দুই পাশের মেরামতের কাজ চলমান রয়েছে। জানা গেছে, কয়েক দফা মেয়াদ বাড়ানোর পর রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার মহিপুরে তিস্তা নদীতে শেখ হাসিনা  সেতুর মূল অংশের কাজ সম্পন্ন হয় ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে। প্রায় ১২৩ কোটি টাকার ব্যয়ে ৮৫০ মিটার এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ২০১২ সালের মার্চ মাসে। ২০১৮ সালের  সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কমফারেন্সের মাধ্যমে এই সেতুটি উদ্বোধন করেন। সেতুটি চালু হওয়ায় লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ ও হাতীবান্ধার সঙ্গে গঙ্গাচড়াসহ বিভাগীয় শহর রংপুরের দূরত্ব ৩০-৫০ কিলোমিটার কমে আসে। উদ্বোধনের পর এই সেতুর ওপর দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচলে কয়েক দফা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। বর্তমানে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় বুড়িমারি স্থলবন্দর থেকে পাথর বোঝাই ভারি যান চলাচল শুরু করে। ফলে সড়ক এবং সেতু দুটোই হুমকির মুখে পড়ে।  সম্প্রতি হয়ে যাওয়া ভারি বৃষ্টি ও  বন্যায় সড়কের দুই পাশের মাটি সরে গিয়ে খানাখন্দকের সৃষ্টি হয়েছে। অথচ তিন মাস আগে এই সড়কটি সংস্কার করা হয় ২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে। সে সময় ১৮ ফুট প্রশস্ত সড়কে কার্পেটিং করা হয়েছে। এ ছাড়া সড়কের দুই পাশে ৩ ফুট করে ৬ ফুট ইট বিছানো এবং ৩ ফুট করে দুই পাশে ৬ ফুট মাটি ফেলে প্রশস্ত করা হয়েছে। গত কয়েক দিনের বৃষ্টির পানিতে  সড়কের পাশে মাটি ও ইট বিছানো অংশ  ভেঙে যাচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি সড়কের দুই পাশে কমপক্ষে ১০০ স্থানের মাটি সরে গেছে। এলজিইডির পক্ষ থেকে পুনরায় সড়কের ভাঙ্গা অংশ মেরামত করা হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন এই সেতু দিয়ে পাথর বোঝাই ট্রাক যাতায়াত করে। প্রতি ট্রাকে ৩৫ থেকে ৪০ টন পাথর পরিবহন করা হয়ে থাকে। ভারি যানবাহন চলাচলের কারণে শুক্রবার বিকালের দিকে শেখ হাসিনা সড়ক সেতুর উত্তর প্রান্তে কিছু অংশ ভেঙে যায়। স্থানীয়রা জানান ভারী বৃষ্টির পানি সেতু দিয়ে ঠিকমতো অপসারণ হয়নি। জমে থাকা পনিতে ভারী যান হঠাৎ ব্রেক করায় এই ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে।

রংপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহজাহান আলী বলেন, ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে ব্রিজের প্যাটেনস্টোন ওয়ারিং কোড উঠে গেছে। দুই এক দিনের মধ্যে ব্রিজের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামত করা হবে। সড়কের দুই পাশের কাজ চলমান রয়েছে।

 

সর্বশেষ খবর