শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

আশ্রয় কেন্দ্রে প্রতিদিন কমছে মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

আশ্রয় কেন্দ্রে প্রতিদিন কমছে মানুষ

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হওয়ায় আশ্রয় কেন্দ্রে প্রতিদিন কমছে লোকজন। গত রবিবার রাতে সিলেটে বৃষ্টি হলেও বাড়েনি পানি, বরং হ্রাসের ধারাবাহিকতা অব্যাহত আছে। জেলা প্রশাসনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী- গতকাল পর্যন্ত সিলেটে ৮ লাখ মানুষ পানিবন্দি ছিলেন। তবে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বহমান ছিল সিলেটের দুটি নদীর ৪ পয়েন্টের পানি।

জানা গেছে, সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় জেলার বিভিন্ন স্থানে এক দিনে আশ্রয় কেন্দ্র ছেড়েছেন সাড়ে ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ। তবে ঘরে ফিরলেও তারা পোহাচ্ছেন নানা ভোগান্তি। বন্যায় বিধ্বস্ত ঘর মেরামত, বিশুদ্ধ পানির সংকট ও রাস্তাঘাট ভেঙে যাওয়ায় চলাচলের কষ্টে আছেন তারা। এ ছাড়া বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে পর্যাপ্ত ত্রাণের সংকটও রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে জেলা প্রশাসনের পক্ষে বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে ত্রাণ তৎপরতা চলছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকার পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিচ্ছে।

জেলা প্রশাসন সূত্র গতকাল দুপুরে জানায়, এ সময় পর্যন্ত সিলেটে ৮ লাখ ৩ হাজার ৩৬৫ জন বন্যাকবলিত ছিলেন। এর মধ্যে মহানগরে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা নেমে এসেছে ৫০০-তে। বর্তমানে মহানগরের ৩টি ওয়ার্ড ও জেলার ১০৭টি ইউনিয়নে বন্যার পানি রয়েছে। বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে আছেন ১৩ হাজার ১৫৪ জন। আগের দিন ছিলেন সাড়ে ১৯ হাজার। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে সরকারি-বেসরকারিভাবে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আছে। পৌঁছানো হচ্ছে বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধপত্র।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেট কার্যালয় সূত্র গতকাল বিকালে জানায়, এ সময় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। একই সময়ে কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৬, ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৯৭ ও শেরপুর পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিলেট জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান জানান, সিলেটে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে। মানুষজন আশ্রয় কেন্দ্র ছেড়ে ফিরছেন বাসাবাড়িতে। বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ ও ওষুধ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর