শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

সরকারি নির্দেশ অমান্য কওে ৩৫ পাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ

নেপথ্যে ঘুষ বাণিজ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীর তানোরে উপজেলা সেচ কমিটির রেজুলেশন খাতা গায়েব করে ৩৫টি গভীর-অগভীর নলকূপে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দ্রুত নিচে নামতে থাকায় বরেন্দ্র অঞ্চলে নতুন করে গভীর নলকূপ না বসানোর সরকারি নির্দেশনা আছে। তবে সে নির্দেশনা অমান্য করেই ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে এসব নলকূপে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ অনিয়ম করেছেন বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) ও পল্লী বিদ্যুতের দুই কর্মকর্তা। জানা যায়, উপজেলায় গভীর ও অগভীর নলকূপ স্থাপন করতে হলে উপজেলা সেচ কমিটির অনুমোদন প্রয়োজন হয়। গভীর নলকূপের অনুমোদন দেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে সেচ কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়। সেচ কমিটির ছাড়পত্র পেলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ওইসব নলকুপের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়। সেচ কমিটির সদস্যসচিব প্রতিটি গভীর নলকূপের জন্য ১৫ লাখ এবং অগভীর নলকূপের জন্য ১০ লাখ টাকা করে ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা পরিষদের স্টেনো টাইপিস্ট তৌফিকুল ইসলাম এসব সমন্বয় করেছেন। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী মহাব্যবস্থাপক কামাল হোসেনও ছিলেন সহযোগিতায়।

অভিযোগ পাওয়া গেছে, সেচ কমিটির সভার কার্যবিবরণী গায়েব করে দেন তানোর থেকে সম্প্রতি বদলি হওয়া বিএমডিএ’র সহকারী প্রকৌশলী মুহাম্মদ কামরুজ্জামান। এরপর প্রায় ৩৫টি গভীর ও অগভীর নলকূপকে সভায় অনুমোদন দেওয়ার তথ্য দিয়ে তিনি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে ছাড়পত্র দিয়েছেন। বাস্তবে গত বছরের শেষ দিকে ব্যক্তিমালিকানাধীন সাতটি গভীর-অগভীর নলকূপকে অনুমোদন দিয়েছিল সেচ কমিটি। সে সময় সেচ কমিটির সভাপতি ছিলেন তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন। বর্তমানে কিশোরগঞ্জে কর্মরত বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘আমি সাতটি গভীর-অগভীর নলকূপের অনুমোদন দিয়েছিলাম। এখন যদি ৩৫টিতে সংযোগ দেওয়া হয়, তাহলে সেটা অবৈধ। এ রকম হওয়ার সুযোগ নেই। কীভাবে হলো তদন্ত করা দরকার।’ তানোরের বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সেচ কমিটির আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আগের ইউএনও কতটি গভীর-অগভীর নলকূপের অনুমোদন দিয়েছিলেন, তা জানতে পারিনি। কারণ কার্যবিবরণী খাতা থাকত কমিটির সদস্যসচিব বিএমডিএ’র সহকারী প্রকৌশলী মুহাম্মদ কামরুজ্জামানের কাছে। খাতার জন্য আমি তাকে কয়েক দফা ফোন করেছি।’ তিনি ফোন ধরেননি।’ সহকারী প্রকৌশলী মুহাম্মদ কামরুজ্জামানের নম্বরে (০১৮১৭-৫০৯২০১) কল করা হলেও রিসিভ করেননি। মেসেজেরও জবাব দেননি। এ ছাড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী মহাব্যবস্থাপক কামাল হোসেন এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর