‘গহনায় হোক প্রযুক্তির ছোঁয়া’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে ৪ জুলাই শুরু হচ্ছে প্রথম আন্তর্জাতিক জুয়েলারি মেশিনারিজ প্রদর্শনী বাংলাদেশ-২০২৪। রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) পুষ্পগুচ্ছ হলে এ প্রদর্শনী চলবে ৬ জুলাই পর্যন্ত। আন্তর্জাতিক জুয়েলারি মেশিনারিজ প্রদর্শনী আয়োজন করেছে দেশের ঐতিহ্যবাহী ও পণ্যভিত্তিক সর্ববৃহৎ বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এতে বিশ্বের ১০ দেশের ৩০ প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। এ প্রদর্শনী দেখতে কোনো টিকিট লাগবে না। গতকাল বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্সে বাজুস কার্যালয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক জুয়েলারি মেশিনারিজ প্রদর্শনী উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাজুসের সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায়, সংগঠনের মুখপাত্র ও সাবেক সভাপতি এবং বাজুসের কার্যনির্বাহী সদস্য ডা. দিলীপ কুমার রায়, সহসভাপতি সমিত ঘোষ অপু, বাজুসের উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল, কেএনসি সার্ভিসেসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্রান্তি নাগভেকারসহ কমিটির অন্য সদস্যরা। সংবাদ সম্মলনে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন-২০৪১ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের পরিকল্পনায় দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক জুয়েলারি মেশিনারিজ প্রদর্শনী বাংলাদেশ-২০২৪-এর আয়োজন করা হয়েছে। এতে দেশের জুয়েলারি শিল্পের উন্নয়ন ও নতুন নতুন শিল্পকারখানা স্থাপনে বিনিয়োগকারীরা উৎসাহিত হবেন। প্রদর্শনী প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এতে অংশ নিচ্ছে ভারত, ইতালি, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জার্মানি, চীন, থাইল্যান্ডসহ ১০ দেশের ৩০ প্রতিষ্ঠান। প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়া ভারতের ছয়টি প্রতিষ্ঠান হলো তিষা সিএনসি ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস, নিও ইনস্ট্রুমেন্ট, সোলাংকি মেশিনারিজ ওয়ার্কস, ইরা করপোরেশন, কোয়ান্টাম ইকুইপমেন্ট ও এ্যাকযেট সলিউশন। ইতালির তিনটি প্রতিষ্ঠান হলো জেটিই, ফাস্টি ও ওমপার। তুরস্কের তিনটি প্রতিষ্ঠান হলো ওটেক, অরটেক ও গুভেনিস জুয়েলারি মোল্ড অ্যান্ড মেশিন। এ ছাড়া রয়েছে জার্মানির ফিশার, চীনের ডু ইট ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড। বাংলাদেশ থেকে অংশ নিচ্ছে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান-ড্রিমস ইনস্ট্রুমেন্ট টেকনোলজি, বাংলাদেশ সাইন্টিফিক ইনস্ট্রুমেন্ট কোম্পানি, এক্সপার্ট ইনস্ট্রুমেন্ট, ট্র্যাস্ট, র্যার্টস বিডি।
সংবাদ সম্মেলনে প্রদর্শনীর বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন বাজুসের সহসভাপতি সমিত ঘোষ অপু। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, এ প্রদর্শনীর ফলে বিশ্বের আধুনিক মেশিনারিজের সঙ্গে এ খাতের ব্যবসায়ীদের পরিচিতি ঘটবে। যার ফলে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক জুয়েলারি শিল্পকারখানা স্থাপনের সুযোগ সৃষ্টি হবে। নতুন নতুন শিল্পকারখানা স্থাপিত হলে জুয়েলারি শিল্পের বিকাশ ও রপ্তানির দুয়ার উন্মোচিত হবে। এ দেশ স্বর্ণশিল্পের হারানো ঐতিহ্য আবার ফিরে পাবে। আমাদের দেশের কারিগর বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক ডিজাইনের গহনা তৈরি করতে সক্ষম হবেন। দেশের স্বর্ণশিল্পীদের গড়া নিত্যনতুন আধুনিক ডিজাইনের অলংকারের পরিচিতি বাড়বে। বাজুস আশা করছে এ প্রদর্শনী দেশি জুয়েলারি শিল্পকে সমৃদ্ধিশালী করার পাশাপাশি বিশ্ববাজারে একটি নতুন অবস্থান তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। আশা করছি এ প্রদর্শনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের জুয়েলারি শিল্পের বিদ্যমান অবস্থা এবং এর ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা সম্পর্কে দেশবাসীকে অবহিত করা সম্ভব হবে।
