মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

দেশে নিবন্ধিত মোবাইল সিমের ৪১ ভাগ নিষ্ক্রিয় সর্বোচ্চ টেলিটকের

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে নিবন্ধিত মোবাইল সিমের ৪১ ভাগ নিষ্ক্রিয় সর্বোচ্চ টেলিটকের

দেশের চারটি মোবাইল অপারেটরের নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা মোট ৩৩ কোটি ২৭ লাখ ৫৬ হাজার ৯৭০টি। এর মধ্যে সচল সিমের সংখ্যা ১৯ কোটি ৩৭ লাখ ৩০ হাজার। নিষ্ক্রিয় সিম ১৩ কোটি ৯০ লাখ ২৬ হাজার ৯৭০টি। অর্থাৎ, নিবন্ধিত সিমের ৪১.৭৮ ভাগই অচল। গতকাল জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে এমপি আবদুল মালেক সরকারের প্রশ্নের জবাবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছিলেন।

জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, দেশের চারটি সেলুলার মোবাইল ফোন অপারেটরের মধ্যে গ্রামীণফোনের নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা ১১ কোটি ৯৫ লাখ ৬৭ হাজার ৯২৫টি, সক্রিয় সিম ৮ কোটি ৩৯ লাখ ৫০ হাজারটি। বাংলালিংকের নিবন্ধিত সিম ৯ কোটি ৭ লাখ ৬৫ হাজার ৯৬২টি, সক্রিয় সিম ৪ কোটি ৪৭ লাখ ২০ হাজার। রবি অজিয়াটার নিবন্ধিত সিম ১০ কোটি ৭৯ লাখ ৬১ হাজার ৮০০টি, সচল সিম ৫ কোটি ৮৫ লাখ ১০ হাজার। টেলিটকের নিবন্ধিত সিম ১ কোটি ৪৪ লাখ ৬১ হাজার ২৮৩টি, সচল সিম ৬৫ লাখ ৫০ হাজার। অর্থাৎ, সবচেয়ে বেশি ৭৯ লাখ ১১ হাজার ২৮৩টি (৫৪.৭০%) সিম বন্ধ রয়েছে টেলিটকের। বাংলালিংকের বন্ধ সিম ৪ কোটি ৬০ লাখ ৪৫ হাজার ৯৬২টি (৫০.৭৩%), রবি অজিয়াটার বন্ধ সিম ৪ কোটি ৯৪ লাখ ৫১ হাজার ৮০০টি (৪৫.৮০%) ও গ্রামীণফোনের বন্ধ সিম ৩ কোটি ৫৬ লাখ ১৭ হাজার ৯২৫টি (২৯.৭৯%)।

পাঁচ বছরে বিটিসিএলের গ্রাহক কমেছে দেড় লাখ : সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনের প্রশ্নের জবাবে জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, ২০১৯ সালে বিটিসিএলের গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৫ লাখ ১৯ হাজার ৯২২ জন। বর্তমানে ২০২৪ সালের ১২ জুন সেই সংখ্যা কমে ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৯৫০ জনে দাঁড়িয়েছে । অর্থাৎ বিগত পাঁচ বছরে বিটিসিএলের গ্রাহক সংখ্যা কমেছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯৭২ জন। ২০২৩ সালের তুলনায় চলতি বছরের জুন নাগাদ কমেছে ৩৩ হাজার ১ জন। ফরিদা ইয়াসমিনের আরেক প্রশ্নের জবাবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জানান, এখন শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রকল্প প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের আওতায় সর্বমোট ৯ হাজার ১টি ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া ইডিসি প্রকল্পের অধীনে দেশের প্রতিটি সংসদীয় আসনে ২৫টি প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপনসহ মোট ১২ হাজার ল্যাব স্থাপন করা হবে। ল্যাব স্থাপনের জন্য এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ৮৯৭টি প্রতিষ্ঠানের আবেদন পাওয়া গেছে। সংসদ সদস্য নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী পলক জানান, দেশে বর্তমানে লাইসেন্সধারী ইন্টারনেট সরবরাহকারীর সংখ্যা ২ হাজার ৬৫০টি। গুণগত মানসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে একই এলাকায় একাধিক আইএসপি প্রতিষ্ঠানের ইন্টারনেট সেবা প্রদানের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর