শিরোনাম
বুধবার, ২৬ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

সিলেটে লুট হচ্ছে সাদাপাথর

অবৈধভাবে সংগ্রহ করে বিক্রি করছেন প্রভাবশালীরা, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

সিলেটের অন্যান্য অঞ্চলের পাথরের চেয়ে ভোলাগঞ্জের সাদাপাথরের গুণগত মান ভালো। তাই সারা দেশে নির্মাণকাজে সাদাপাথরের কদর বেশি। কিন্তু পরিবেশ বিধ্বংসী কার্যক্রমের কারণে দীর্ঘদিন ধরে ধলাই নদী থেকে পাথর উত্তোলনে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু গেল দুই দফা বন্যা ও পাহাড়ি ঢলের সময় স্থানীয় প্রভাবশালীরা লুট করেছেন কোটি কোটি টাকার সাদাপাথর। লুটের ঘটনায় থানায় মামলাও হয়েছে একাধিক। আটক হয়েছেন বারকি শ্রমিক নেতাসহ বেশ কয়েকজন। সাদাপাথর লুট হওয়ায় সরকারও রাজস্ব হারাচ্ছে।

জানা গেছে, গত দুই দফা বন্যার সময় সাদাপাথরে পর্যটক সমাগম নিষিদ্ধ করা হয়। বন্যার কারণে সাদাপাথরের নৌকাঘাট-সংলগ্ন ভোলাগঞ্জের ১০ নম্বর এলাকার দোকানপাটও বন্ধ হয়ে যায়। এই সুযোগে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় সাদাপাথর লুট হতে থাকে। রাতের আঁধারে নৌকা দিয়ে পাথর উত্তোলন করে ট্রাকে পরিবহন করে বিভিন্ন ক্রাসার মিলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ভাঙা পাথর দেশের বিভিন্ন স্থানের ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করা হয়। কোম্পানীগঞ্জ এলাকায় কেউ কেউ অবৈধভাবে উত্তোলিত পাথর কিনে মজুতও করেন।

অবৈধভাবে সংগৃহীত সাদাপাথর আটকের ঘটনা সর্বশেষ ঘটে গত সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে। ওই রাতে ভোলাগঞ্জ ১০ নম্বর এলাকায় মজুতকৃত সাদাপাথর ট্রাকে করে পাচারকালে অভিযান চালায় পুলিশ। সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কের হাইটেক পার্কের সামনে থেকে সাদাপাথর বোঝাই ট্রাকসহ  তিনজনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন- কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার আবদুল্লাহ মিয়া (৩৮), আবুল হোসেন (৩২) ও এনামুল হক (১৯)।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গোলাম দস্তগীর আহমদ জানান, পাথর চুরি ঠেকাতে সম্প্রতি পুলিশ জোর অভিযান চালাচ্ছে। দুই দিনে পাঁচজনকে আটক এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সাদাপাথর এলাকায় পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। এর আগে গত ২৯ মে ‘সাদাপাথর’ এলাকায় স্তূপীকৃত পাথর রাতের আঁধারে লুটে নেওয়ার অভিযোগে ১৭ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা শিপলু কুমার দে। এ ছাড়া সাদাপাথর চুরি করে উত্তোলন করে নিয়ে আসার সময় সুমন আহমদ নামের এক ব্যক্তি নৌকাডুবিতে মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর