শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

বৃষ্টি হলেই রাজধানীতে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক

বৃষ্টি হলেই রাজধানীতে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তি

বৃষ্টিতে দুর্ভোগ : রাজধানীতে বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা নতুন ঘটনা নয়। গতকাল সকালে বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়ে নগরবাসী। ছবিটি মেরুল বাড্ডা থেকে তোলা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

রাজধানীতে মাত্র ৬১ মিলিমিটার বৃষ্টিতে সড়ক ও অলিগলিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সকাল ১০টার পর শুরু হওয়া বৃষ্টিতে ডুবেছে বিভিন্ন সড়ক ও অলিগলি। এতে সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়। দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পানি-নিষ্কাশন-ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয় বলে অভিযোগ নগরবাসীর।

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, গতকাল সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত টানা দুই ঘণ্টায় নগরীতে ৬১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

বৃষ্টির মধ্যেই হাঁটুপানি মাড়িয়ে গন্তব্যে যেতে হয়েছে ঢাকাবাসীকে। বৃষ্টি হওয়ায় গরম থেকে স্বস্তি মিললেও ভারী বৃষ্টিপাতে ডুবে যাওয়া রাস্তায় চলাচলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় নাগরিকদের। পানিতে ডুবে থাকা রাস্তা পার হতে গিয়ে অনেককেই দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। শহরের পয়ঃনিষ্কাশন-ব্যবস্থার অনিয়ম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃষ্টিতে রাজধানীর নয়াপল্টন, শান্তিনগর, মালিবাগ, সায়েদাবাদ, শনিরআখড়া, সদরঘাট, সূত্রাপুর, বংশাল, নাজিমউদ্দিন রোড, আগারগাঁও থেকে জাহাঙ্গীর গেট নতুন রাস্তা, ধানমন্ডি, খামারবাড়ি থেকে ফার্মগেট, তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ড, মোহাম্মদপুর ও বসিলার কিছু অংশ, মেরুল-বাড্ডা, ডিআইটি প্রজেক্ট এলাকা, মিরপুর ১০, ১১, ১২, ১৩ ও হাতিরঝিলের কিছু অংশ, গুলশান লেকপার এলাকার সংযোগ সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক ও অলিগলি ডুবে গেছে।

দুপুরে হাতিরঝিল-সংলগ্ন মধুবাগ এলাকার সড়কে এক হাঁটুর বেশি পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। ইঞ্জিনে পানি ঢুকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা বিকল হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে। অটোরিকশা চালক আবুল কালাম বলেন, কয়েকবার চেষ্টার পরও সিএনজি চালু হয়নি। তাই পাশের ওয়ার্কশপে মেকানিকের জন্য খবর পাঠিয়েছেন তিনি।

পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকার অলিগলি ডুবে যাওয়ায় ড্রেনের ময়লা-আবর্জনা সব ভেসে উঠেছে গলিতে। ময়লাযুক্ত পানি পেরিয়ে বাসায় যাচ্ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আফরান। তিনি বলেন, ‘সকালের গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিতে ছাতা নিয়ে ক্লাসে গেলাম। ক্লাস শেষে বাসায় ফিরতে দেখি গলিতে পানি জমে গেছে। ড্রেনের সব ময়লা ওপরে ভাসছে। কোনোমতে নাক চেপে প্যান্ট উঁচু করে বাসায় ফিরলাম।’

সূত্রাপুরের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘অল্প বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। বছরের পর বছর আমাদের এ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। পত্রপত্রিকায় এ ঘটনার সব সময় রিপোর্ট হয়, কিন্তু কোনো সমাধান হয় না। এক পশলা বৃষ্টিতেই অলিগলিতে পানি জমে যায়। সেখানে ঘণ্টাখানেক বা দিনব্যাপী বৃষ্টি হলে ভোগান্তির সীমা থাকে না। এ থেকে কবে পুরান ঢাকাবাসী নিস্তার পাবে জানা নেই।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর