শিরোনাম
শুক্রবার, ২৮ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা
রংপুর

লোডশেডিংয়ে ভোগান্তি চরমে হাসপাতালে জেনারেটর অচল

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুর জেলার আট উপজেলার মধ্যে সদর বাদে সাতটিতেই রয়েছে সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। বিদ্যুৎ না থাকলে এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো জেনারেটেরের মাধ্যমে চলত। জেনারেটরগুলো চালু করতে তেলের বরাদ্দ নেই কমপক্ষে পাঁচ বছর থেকে। জেনারেটর থাকা সত্ত্বেও লোডশেডিংয়ের সময় বিদ্যুৎবিহীন থাকতে হচ্ছে রোগী, চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টদের। ফলে ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। তবে জেলা সিভিল সার্জন বলেছেন, তেলের বরাদ্দ চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে।

রংপুর সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মিঠাপুকুর, পীরগঞ্জ, তারাগঞ্জ, বদরগঞ্জ, গঙ্গাচড়া, পীরগাছা ও কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরকারিভাবে বরাদ্দ দেওয়া আছে জেনারেটর। বিদ্যুৎ চলে গেলে বিকল্প ব্যবস্থায় হাসপাতালের কার্যক্রম চালু রাখার জন্য এসব জেনারেটর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রায় পাঁচ বছর আগে জেনারেটরের তেলের বরাদ্দ বন্ধ হয়ে যায়। এমনও শোনা গেছে, রোগীর অপারেশন চলার সময়ও বিদ্যুৎ থাকে না। মাঝপথেই অপারেশন থামিয়ে দিতে হয়। না হলে রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে তেলের টাকা নিয়ে জেনারেটর চালু করতে হয়। বিদ্যুৎ চলে গেলে হাসপাতালের ফ্যান-লাইট বন্ধ হয়ে যায়। অন্ধকারে ভূতুড়ে পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এতে রোগীদের চরম অস্বস্তিতে পড়তে হয়।

বর্তমানে তাপপ্রবাহের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে লোডশেডিং। জেনারেটর চালু করতে না পারায় অপারেশন, ইসিজি, আলট্রাসনোগ্রাম, এসিসহ সব ধরনের সেবা বন্ধ থাকছে। লোডশেডিংয়ের সময় অস্ত্রোপচার বন্ধ রাখতে হচ্ছে। আর গরমে রোগীদের হাঁসফাঁস অবস্থার পাশাপাশি রাতেও কখনো কখনো অন্ধকারে কাটাতে হচ্ছে। এ ছাড়া অব্যবহৃত অবস্থায় দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় কোনো কোনো হাসপাতালের জেনারেটর বিকল হয়ে পড়েছে।

মিঠাপুকুর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রাসেবুল ইসলাম বলেন, ‘জেনারেটর দেওয়া হয়েছিল ১০ বছর আগে। তেলের বরাদ্দ না থাকায় সেটি অচল অবস্থায় রয়েছে।’

রংপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. ওয়াজেদ আলী বলেন, ‘রংপুরের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জেনারেটর চালানোর জন্য সরকারিভাবে তেলের বরাদ্দ নেই। তাই জেনারেটর থাকলেও ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর