শুক্রবার, ২৮ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

গ্রামের অভিভাবক খুশি আপত্তি শহরে

নতুন শিক্ষাক্রম

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাস্তবমুখী হওয়ায় নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে গ্রামের অভিভাবকরা খুশি বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তবে শহরের অল্পসংখ্যক অভিভাবক এ নিয়ে শুরু থেকে আপত্তি জানিয়ে আসছেন বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে শহুরে অভিভাবকরা বলছেন- আমাদের সন্তান ইলেকট্রিক্যাল ট্রেডের শিক্ষা নিয়ে কী অর্জন করবে? আমরা তো সন্তানকে বিজ্ঞানী বানাতে চাই। কিন্তু তাদের সে উপলব্ধি থাকা উচিত, প্রাত্যাহিক জীবনে নানা বিষয়ে শিক্ষার্থীকে সম্পৃক্ত করাটা পাঠ্যপুস্তক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার চাইতেও অনেক সময় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

তিনি বলেন, ‘অন্যদিকে প্রান্তিক পর্যায়ের (গ্রামের) মা-বাবাদের মধ্যে এ বিষয়ে কোনো আপত্তি বা উষ্মা নেই। তাদের অভিযোগ কম। বরং তারা খুশি। ধান কাটার সময়ে তাদের সন্তান তাদের সহযোগিতা করার বিষয়টি স্কুলে শিখছে। এটা দেখে তারা আপ্লুত।’ গতকাল দুপুরে ‘জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ’ উপলক্ষে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জাতীয় পর্যায়ের বিজয়ী শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

শিক্ষাকে বাস্তব জীবনে প্রয়োগের লক্ষ্যে শিক্ষাক্রমের রূপান্তর করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘তত্ত্বীয় জ্ঞানের প্রায়োগিক দিকটা শেখালে শিক্ষা আনন্দময় হয়ে ওঠে। এজন্য শিক্ষাক্রম রূপান্তরের চেষ্টা করা হচ্ছে। শিক্ষকদেরও সেভাবে প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের মানসিক পরিবর্তনটা এখন বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। এতে সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর