শিরোনাম
শনিবার, ২৯ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

কক্সবাজারে ভিন্ন নামে জঙ্গি তৎপরতা

র‌্যাবের কবজায় তিন সদস্য

কক্সবাজার প্রতিনিধি

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’ ভিন্ন নামে সাংগঠনিক তৎপরতা চালাচ্ছে। ‘আস-শাহাদাত’ গ্রুপের নামে সংগঠনের সদস্য সংগ্রহসহ নানা তৎপরতায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিন সদস্যকে কক্সবাজারের চৌফলদন্ডী এলাকা থেকে আটক করে র‌্যাব। এ সময় জব্দ করা হয় উগ্রবাদী পুস্তিকা, লিফলেট ও বিস্ফোরক তৈরির ম্যানুয়াল। কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর কার্যালয়ে গতকাল দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম। আটকরা হলেন- জামালপুরের ইসলামপুর এলাকার আবদুল ওহাবের ছেলে মো. জাকারিয়া মন্ডল (১৯), ভোলার বোরহান উদ্দিন উপজেলার নুরুল আমিনের ছেলে মো. নিয়ামত উল্লাহ (২১) ও ফেনীর সোনাগাজীর ইদ্রিস আলীর ছেলে মো. ওজায়ের (১৯)। সংবাদ সম্মেলনে কমান্ডার আরাফাত ইসলাম জানান, র‌্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৫ এবং র‌্যাব-৭ এর যৌথভাবে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত চৌফলদন্ডী এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে তিনজনকে আটক করা হয়। এই তিনজনই ‘আনসার আল ইসলাম’ এর সক্রিয় সদস্য। তারা আফগানিস্তানে তালেবানের উত্থানে উদ্বুদ্ধ হয়ে আল-কায়েদা মতাদর্শের জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামে যোগ দেয়। র‌্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়মিত অভিযানের ফলে আনসার আল ইসলামের কার্যক্রম প্রায় স্তিমিত হয়ে পড়ে। আনসার আল ইসলামের নামে নতুন সদস্য সংগ্রহসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করতে ব্যাহত হচ্ছে বিধায় তাদের কার্যক্রমকে চলমান রাখতে আনসার আল ইসলাম মতাদর্শী ‘আস-শাহাদাত’ নামে নতুন একটি জঙ্গি গ্রুপ তৈরি করে নতুন সদস্য সংগ্রহসহ, দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকে। এ গ্রুপটি পার্শ্ববর্তী একটি দেশ থেকে পরিচালিত হচ্ছে এবং এই সংগঠনের সদস্য সংখ্যা আনুমানিক ৮৫-১০০ জন। এ গ্রুপটির উদ্ভাবক হচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশের নাগরিক হাবিবুল্লাহ এবং কথিত আমির সালাহউদ্দিন।

এ ছাড়াও তারা বাংলাদেশকে এই সংগঠনের একটি শাখা বলে দাবি করে।

তিনি জানান, আটক জাকারিয়া ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার একটি মাদরাসায় অধ্যয়নরত। সে এক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সংগঠনের আমির সালাহউদ্দিন ও ইসমাইলের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরবর্তীতে পরিচয় সূত্রে আমির সালাহউদ্দিন ও বাংলাদেশের আমির ইসমাইলের মাধ্যমে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে সে এ সংগঠনে যোগ দিয়ে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকে। পরবর্তীতে সে আনসার আল ইসলাম মতাদর্শী ‘আস-শাহাদাত’ গ্রুপের ময়মনসিংহ ও জামালপুর অঞ্চলের দাওয়াতি শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়। নিয়ামত এবং ওজায়ের চট্টগ্রামের পটিয়ার একটি মাদরাসার কিতাব শাখায় অধ্যয়নরত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের একটি গ্রুপে একজন জঙ্গি নেতার সঙ্গে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তারা উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে আনসার আল ইসলামে যোগ দেয় এবং তারা মাদরাসাসহ বিভিন্ন এলাকায় দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকে।

এ ব্যাপারে মামলা করে আটকদের কক্সবাজার সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর