শিরোনাম
শনিবার, ২৯ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

লিবিয়ায় পাচার করে মুক্তিপণ চক্রের দুজন গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

চাকরি দেওয়ার নামে লিবিয়ায় নেওয়ার পর আটক রেখে নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। লিবিয়ার মুক্তিপণের টাকা বাংলাদেশের একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হতো। মাগুরা সদর থানার একটি মামলার সূত্র ধরে সেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মালিক এবং পাচারকারী চক্রের বাদশা মিয়া ও লিবিয়ায় নির্যাতনকারীর স্ত্রী আরজু বেগমকে কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়।

গতকাল সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার আজাদ রহমান জানান, মানব পাচারকারী চক্রটি উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখিয়ে চাকরিপ্রত্যাশীদের প্রথমে ভিজিট ভিসায় দুবাই নিয়ে যায়। তারপর  সেখান থেকে লিবিয়ায় নিয়ে সেখানে অবস্থানরত একজনের (গ্রেফতার আরজু বেগমের স্বামী রেজাউল করিম) তত্ত্বাবধানে তাদের আটকে রাখা হয়। তারা মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে অন্য একটি চক্রের কাছে আটকদের হস্তান্তর করে। চক্রটি ভুক্তভোগীদের নির্যাতনের পর পরিবারের সদস্যদের কল দিয়ে সেই ভিডিও দেখাত। সেই সঙ্গে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ চাইত। মুক্তিপণ পেলে ভুক্তভোগীদের ঝুঁকিপূর্ণভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পাঠিয়ে দিত। এভাবে অনেকে সাগরে মারা গেছেন। কিছু লোক উদ্ধার হয়েছে এবং অল্পসংখ্যক ইউরোপে পৌঁছাতে পেরেছেন।

সিআইডি জানায়, মাগুরা সদর থানার একটি মামলা সূত্রে জানা যায়, নাছির হোসেন গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর তার চাচা ওমর আলীর মাধ্যমে ভারত ও দুবাই হয়ে লিবিয়ায় যান। সেখানে লিবিয়া প্রবাসী মাহবুবুর রহমান ছদরুলের তত্ত্বাবধানে তিনি টাইলস মিস্ত্রি হিসেবে কাজও শুরু করেন।

চার মাস আগে তাকে লিবিয়ার একটি স্থানে আটকে রাখে মানব পাচারকারীরা। মুক্তিপণ হিসেবে তার পরিবারের কাছে ১৫ লাখ টাকা চাওয়া হয়।

তদন্তে দেখা যায়- বাদশা মিয়া তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে ব্যাংকে একটি চলতি হিসাব খুলে আরজু বেগমকে তা ব্যবহার করতে দেন। ওই হিসাবে মোট ১২ লাখ ৫০ হাজার ৯১০ টাকা জমা এবং ১০ লাখ ৯৭ হাজার ২৮৫ টাকা তোলা হয়। সেই সূত্র ধরে বাদশাকে কক্সবাজারের পেকুয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার প্রতিবেশী চাচাতো বোন আরজুর স্বামী লিবিয়ায় মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত। সহযোগী হিসেবে আরজুকেও গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার দুজনই দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর