শিরোনাম
রবিবার, ৩০ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা
ঢাকার বাইরেও বেহাল হাসপাতাল

আউটসোর্সিং বাণিজ্য সরকারি হাসপাতালে

♦ বেতনের টাকা পাননি কর্মচারীরা ♦ তদন্তে নামছে শ্রম অধিদফতর

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০১৯ সাল থেকে আউটসোর্সিং কর্মচারী ১০০, ১০৭, ৯৫ ও ৪ জনের লটে কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাছরাঙ্গা সিকিউরিটি ও কন্ট্রাক্ট ক্লিনিং সার্ভিসেস। অভিযোগ রয়েছে, চলতি অর্থবছরে আউটসোর্সিং কাজের সব টাকা সরকার পরিশোধ করলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সব কর্মচারীকে এই টাকা দেয়নি। ১২ মে ১০০ লটে কর্মরত ২৪ কর্মচারী বেতন না পেয়ে হাসপাতাল পরিচালককে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঠিকাদার হেমায়েত হোসেন ফারুক তার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন- ‘সময়মতো কর্মচারীদের বেতন দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।’

এদিকে বেতন প্রদানে অনিয়ম তদন্তে আজ (রবিবার) শ্রম অধিদফতরের প্রতিনিধি হাসপাতালে আসছেন বলে জানা গেছে। হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. মো. হুসাইন শাফায়েত বলেন, নতুন অর্থবছরে তিনটি লটে ২০৬ জনের কাজের মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টা করছেন ঠিকাদার। আমরাও চেষ্টা করছি যেন টেন্ডার করাতে পারি। জনবল সংকটের কারণে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হওয়ায় ঠিকাদারের মাধ্যমে অস্থায়ীভাবে ওয়ার্ডবয়, আয়া, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, নিরাপত্তা প্রহরী ও মালি নিয়োগ দেওয়া হয়।

আউটসোর্সিং লট-৯৫ এ কর্মরত ওয়ার্ডবয় আদনান মাহমুদ জানান, গত তিন বছরে তার ১৪ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার কাছ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে সরকারি চাকরি না দিয়ে আউটসোর্সিং কাজে নিয়োগ দেওয়া হয়। তার মতো অনেকের কাছ থেকে এভাবে কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে।

হাসপাতালে হাজিরা খাতা না রেখে উপস্থিতির দাফতরিক প্রমাণাদি গোপন রাখা হয়। ডিউটি করার কয়েক মাসের মধ্যে নানা অজুহাতে কর্মরতদের বাদ দিয়ে নতুন লোক নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রভাব বিস্তার করে হাসপাতালের নিচতলায় ব্যক্তিগত অফিস খুলেছে প্রতিষ্ঠানটি। ফলে সরকারি প্রতিষ্ঠানের লোক পরিচয় দিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পাতা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর