শিরোনাম
রবিবার, ৩০ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

৯০% সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী দুর্নীতিবাজ : হাফিজ উদ্দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৯০ শতাংশ দুর্নীতির দিকে বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ। মাত্র ১০ থেকে ১৫ শতাংশ লোক ভালো থেকে কী হবে বলেও মন্তব্য করেন। গতকাল জাতীয় সংসদের অধিবেশনে অর্থবিল ২০২৪-এর সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, কাস্টমসে যারা চাকরি করেন, তাদের প্রত্যেকের ঢাকা শহরে দুটা-তিনটা বাড়ি। বনবিভাগের যারা চাকরি করেন তাদের দুটা-তিনটা করে সোনার দোকান। প্রধানমন্ত্রী যদি পদক্ষেপ নেন তাহলে দুর্নীতি রোধ করতে পারব।

না হলে যে হারে লাগামহীনভাবে বড় বড় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুর্নীতি করছেন, আমরা কী করব? আমরা অসহায়। অনেক সরকারি কর্মকর্তা আছেন তারা অসহায়। কারণ এখানে ৯০ শতাংশ লোকই ওইদিকে (দুর্নীতি), ১০-১৫ শতাংশ লোক ভালো থেকে কী করবে?

তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় আমার কী সম্পদ আছে তা হলফনামায় দিয়ে থাকি। তার পর পাঁচ বছর পরে নির্বাচনে আবার হলফনামা দিই। সেখানে সম্পত্তি কত বাড়ল, ১০০ গুণ না ৫০০ গুণ বাড়ল তা পত্রিকায় নিউজ হয়। আমাদের আমলনামা চলে আসে। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চাকরিতে ঢোকার সময় যদি হলফনামা দিতেন, তারপর পাঁচ বছর, দশ বছর পর পর হলফনামা দিতেন এবং তাদের আলোচনা-সমালোচনা হতো, তাহলে দুর্নীতির চাবিটা বন্ধ হতো, না হলে বন্ধ হবে না। সরকার অনেক প্রশংসা পেয়েছে। কিন্তু শুধু দুর্নীতি বন্ধ করতে পারলে সোনার অক্ষরে যেভাবে ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর নাম রয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নামও সেভাবে লেখা থাকবে। এমপি সাহেবদের যেভাবে আমলনামা আছে, প্রত্যেক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আমলনামা তৈরি করা গেলে মনে হয় দুর্নীতি রোধ করা যাবে। আমার বাড়ি যে উপজেলায় সেখানে বাড়িকে অফিস হিসেবে ব্যবহার করি। কিন্তু আরেক উপজেলায় বসার জায়গাও নেই। হয় ইউএনও সাহেবের পাশে টেবিল নিয়ে বসতে হয়। এ জন্য প্রতিটি নির্বাচনি এলাকায় এমপিদের জন্য অফিস করে দেওয়ার অনুরোধ জানাই। নির্বাচনি এলাকায় অনেক সালিশ-বিচার করতে হয়। অনেক সমস্যার সমাধান দিতে হয়। সরকারের বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে বসতে হয়। সে জন্য অফিস থাকলে ভালো হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর