মঙ্গলবার, ২ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

তিন জেলায় সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য

রাজশাহী, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আম উৎপাদনে সেরা। এ মৌসুমে তিন জেলায় প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্যের আশা করছে কৃষি বিভাগ। যদিও চাষিরা বলছেন, এবার আম থেকে আয় ৮ হাজার কোটি টাকার বেশি হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী জেলায় এবার ১৯ হাজার ৬০৩ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ হয়েছে। তার মধ্যে ১৩ হাজার ৪১৫ হেক্টর জমির আম পাড়া হয়েছে। অধিদফতরের ২৬ জুন পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী, জেলায় আমের মোট উৎপাদন হয়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৪৪৪ মেট্রিক টন। এ আমের বাজার মূল্য প্রায় ১ হাজার ৩১৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। রাজশাহী জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আম উৎপাদন হয় বাঘায়, প্রায় ৮ হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে। সবচেয়ে বড় আমের মোকাম বানেশ্বর বাজার। রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক উম্মে ছালমা বলেন, ‘এবার আমের ফলন কম হওয়ায় কৃষকরা শঙ্কিত ছিলেন। কিন্তু আমের মূল্য বেশি পাওয়ায় সে ক্ষতি অনেকটা পুষিয়ে যাবে।’

নওগাঁয় এবার আড়াই হাজার কোটি টাকার বাণিজ্যের আশা কৃষি বিভাগের। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলার ৩৩ হাজার ৩০০ হেক্টর বাগানে আম চাষ হয়েছে। নওগাঁ থেকে এ বছর অন্তত ৪ লাখ ৩১ হাজার ৫০০ টন আম উৎপাদনের আশা করছে কৃষি অফিস। সে হিসাবে প্রায় ২৫০০ কোটি টাকার আম কেনাবেচার আশা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, গুটি জাতের আম দিয়ে মৌসুম শুরু হয়েছে। উন্নত জাতের আমগুলোও এখন শেষের দিকে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের সবচেয়ে বড় মোকাম শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট। এ হাটের ব্যবস্থাপনায় যুক্ত লোকজন বলেন, আমের এই ভরা মৌসুমে পুরো কানসাট ও আশপাশের এলাকাজুড়ে আমের পসরা। প্রতিদিন বেচাকেনা হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকার। এ হাটকে কেন্দ্র করে চাঙা হচ্ছে এলাকার অর্থনীতি।

বাজারের আম বিক্রেতারা জানান, আড়তের মাধ্যমে বিক্রি করতে গিয়ে তাদের আম দিতে হচ্ছে ৫২ কেজিতে মণ হিসাবে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন চাষিরা।

শিবগঞ্জের ‘ম্যাঙ্গো ফাউন্ডেশন’ নামের একটি সংগঠনের সদস্যসচিব ও আম চাষি আহসান হাবিব বলেন, ‘আমরা হিসাব করে দেখেছি, ৫২-৫৪ কেজিতে মণ ধরে যে অতিরিক্ত আম নেওয়া হচ্ছে, তার দাম প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। আমরা প্রতিবাদ করে কোনো ফল পাইনি।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক পলাশ সরকার বলেন, গত বছর আমের উৎপাদন হয়েছিল ৪ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন। এবার ৩ লাখ মেট্রিক টন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জেলায় আম বাগানের পরিমাণ ৩৭ হাজার ৬০৪ হেক্টর।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর