ক্ষীরশাপাতি, ফজলি, আশ্বিনা, ল্যাংড়ার ভিড়ে প্রায় বছর চারেক আগে উদ্ভাবিত হয় নতুন জাতের গৌড়মতি, বারি-৪, কাটিমন, ব্যানানাসহ আরও বেশ কয়েক জাতের আম। এসব আম বেশি ফলনশীল ও সুমিষ্ট হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে এর চাহিদা। চাষিরা পাচ্ছেন প্রায় দ্বিগুণ দাম। ফলে অন্য আমের চেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে নতুন জাতের বেশ কয়েকটি আম। অনেক কৃষক পুরনো বাগান কেটে নতুন জাতের আমবাগান গড়ে তুলছেন। সম্প্রতি চাঁপাইনবাবগঞ্জের চাষি ও কৃষি বিভাগের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।শিবগঞ্জের আমচাষি ও উদ্যোক্তা আহসান হাবিব বলেন, তার বাগানে ১২৫টি গৌড়মতি, বারি-৪, কাটিমন, ব্যানানা আম গাছ আছে। এসব গাছে প্রায় ৫ মণ করে আমের ফলন হয়। এসব আম অন্য আমের চেয়ে দ্বিগুণ দামে বিক্রি করা যায়। বরেন্দ্র অঞ্চলেও নতুনজাতের আম চাষে ঝুঁকছেন উদ্যোক্তারা। তারা শত শত বিঘা জমি ইজারা নিয়ে নতুন জাতের আম চাষ করছেন। নাচোলের আম চাষি শফিকুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন নার্সারি থেকে চারা সংগ্রহ করে সাত বিঘা জমিতে নতুন জাতের আমের বাগান তৈরি করেছেন। দুই বছর আগে শুরু করা বাগানের প্রতিটি গাছে এখন ঝুলছে আম। তার বাগানের এসব আম প্রায় ১২ মাস পাওয়া যায়। তিনি দেশের গি পেরিয়ে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করতে চান।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক পলাশ সরকার বলেন, আমের আদি অঞ্চল ও জাতবৈচিত্র্যে ভরপুর চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম। আর কোনো জেলায় এত জাতের আম নেই।