বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

সিলেটে ৬২ শিশুর কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টের মাধ্যমে শ্রবণশক্তি পেয়েছে ৬২ শিশু। দুই বছরে সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এ শিশুদের শ্রবণশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছে ওসমানী হাসপাতালের কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট টিম। এখনো কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টের অপেক্ষায় আছেন ৩৫-৪০ জন শিশু- এমন তথ্য দিয়েছেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট কার্যক্রমের প্রকল্প পরিচালক ডা. নুরুল হুদা নাঈম।

ডা. নাঈম জানান, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প হিসেবে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০২০-২১ কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট কার্যক্রমের শুরু হয়। শুরুতে ওসমানী হাসপাতালের চিকিৎসক টিম ঢাকায় গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে আসেন। ২০২২ সালের ২৫ মে প্রথম কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট হয় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ঢাকার বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে অস্ত্রোপচার করে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট করা হয়। আদ্রিকা রায় কথা (৪) ও তাসফিয়া জান্নাত (২) নামের দুই শিশুর কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টের মাধ্যমে ওসমানীতে যাত্রা শুরু হয় নতুন এই কার্যক্রমের। এরপর থেকে ওসমানী মেডিকেলের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিমই ইমপ্ল্যান্টের কাজ করে যাচ্ছে। গত দুই বছরে ওসমানীতে মোট ৬২ জনের কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট করা হয়। সব ইমপ্ল্যান্টই সফল হয়েছে বলে জানান ডা. নাঈম।

ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুর রহমান ভূইয়া জানান, কক্লিয়ার ইমপ্লান্টের ডিভাইসের খরচ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় দিয়ে থাকে। বাকি খরচ বহন করতে হয় হাসপাতালকেই। শুধু ইমপ্ল্যান্ট করলেই একটি শিশু কানে শুনতে পায় না। কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টের পর প্রায় এক বছর শিশুকে অডিও ভারভাল থেরাপি (এভিটি) দিতে হয়। এ জন্য ওসমানীতে আলাদা জনবল কিংবা ব্যয় বরাদ্দ নেই। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সেটার ব্যবস্থা করলে সেবা কার্যক্রম আরও সহজ হতো।

সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শিশির রঞ্জন চক্রবর্তী জানান, ওসমানী হাসপাতালের কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট টিম গর্ব করার মতো। যখন এ প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয় তখন দেশে করোনার প্রকোপ ছিল। এর মধ্যে ওসমানী হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের চিকিৎসক দল ঝুঁকি নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। প্রথমে ইমপ্ল্যান্টের জন্য ঢাকার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সহায়তা নিতে হতো। এখন ওসমানীর টিমই সেরা। আন্তর্জাতিক মানের ইমপ্ল্যান্ট কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

 

 

সর্বশেষ খবর