একমাত্র সম্পত্তি অধিগ্রহণ করে ঠিকানাহীন না করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন জানিয়েছেন ২ নম্বর সেক্টরের বৃহত্তর ঢাকার যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রশিদ। লিখিত আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়ে রণাঙ্গনের মাঠে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধদের সংগঠনের নেতৃত্বও দিয়েছেন। ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের মহাসচিব (প্রশাসন)। মুক্তিযুদ্ধে তাদের পরিবারেরও রয়েছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। প্রধানমন্ত্রীর কাছে লেখা চিঠিতে তিনি বলেন, ২৭ জুন ঢাকা জেলা প্রশাসকের অফিস থেকে আমাকে একটি নোটিস দেওয়া হয়। সেখানে আমরা একমাত্র জমি অধিগ্রহণের কথা বলা হয়। এই একতরফা প্রস্তাবে আমরা হতবাক ও মর্মাহত। আমাদের একমাত্র সম্পত্তি অধিগ্রহণ করার সরকারি সিদ্ধান্ত একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার জন্য অত্যন্ত অমানবিক ও অসম্মানজনক আচরণ। যদি আমার জমি অধিগ্রহণ করা হয়, তাহলে আমার কাছে বেঁচে থাকার আর কোনো উপায় থাকবে না।
এটি আমার জন্য মৃত্যু পরোয়ানার সমান হবে। চিঠিতে তিনি আরও উল্লেখ করেন, এরই মধ্যে তাদের পরিবার সরকারের একাধিক প্রকল্পে জমি দান/অধিগ্রহণের মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার, ঢাকা জেলা প্রশাসক এবং ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছেও চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।এদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধার শেষ আশ্রয়স্থল রক্ষায় বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সহানুভূতি কামনা করেছেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক নেতারা।