মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগ নেতার হাতে মারধরের শিকার সাংবাদিক

নিজস্ব প্রতিবেদক

পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল আসাদ রাসেলের মারধরের শিকার হয়েছেন দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার রফিকুল ইসলাম। গতকাল দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল দলীয় সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডাকেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। রফিকুল ইসলাম সংবাদ সংগ্রহের জন্য সেখানে যান। সংবাদ সম্মেলন শেষে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন ওবায়দুল কাদের। বৈঠক শেষে মন্ত্রীরা বের হওয়ার সময় এক প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম। এ সময় তার ওপর অতর্কিত হামলা করে বসেন রাসেল এবং তার সঙ্গে থাকা ক্যাডার বাহিনীর সদস্যরা। তারা উপর্যুপরি কিলঘুসি দিতে থাকেন। উপস্থিত কয়েকজন সাংবাদিক এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এক নেতা এগিয়ে আসার পর রাসেল তার ক্যাডার বাহিনী নিয়ে সরে পড়েন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাহমুদুল আসাদ রাসেল সবার কাছে মাস্তান রাসেল হিসেবে পরিচিত। রাজবাড়ী জেলার নেতা হলেও বসবাস করেন ঢাকায়। সার্বক্ষণিক অবস্থান করেন আওয়ামী লীগ অফিসে। দলের এক সিনিয়র নেতাকে দেন বিশেষ প্রটোকল। ওই নেতার ছত্রছায়ায় গড়ে তুলেছেন ‘বিশেষ প্রটোকল’ বাহিনী। এ বাহিনীর মাধ্যমে চলে মাস্তানি। যারা আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর অফিসে নিয়মিত যাতায়াত করেন তারা রাসেলকে ডাকেন ‘কাইল্লা রাসেল’ বা ‘কনুই রাসেল’ নামে। তার বিরুদ্ধে তদবির বাণিজ্য, দলীয় নেতা-কর্মীদের কনুই মারা এবং পেশাদার সাংবাদিক হয়রানির অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

দলীয় সভানেত্রীর কার্যালয়ে সাংবাদিককে মারধর প্রসঙ্গে দলটির সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে দলটির দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করার পরমার্শ দেন। বিপ্লব বড়ুয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, দলীয় সভানেত্রীর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। ভুক্তভোগী সাংবাদিক মামলা করতে পারেন।

এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত রাসেল বলেন, সাংবাদিক রফিকুলের সঙ্গে যা হয়েছিল তা সমাধান হয়ে গেছে। ভুক্তভোগী সাংবাদিক রফিকুল বলেন, অফিসের সিনিয়রদের সঙ্গে কথা বলে আইনি পদক্ষেপ নেব।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর