সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে সরকার এবং আদালতের ইচ্ছা এক হয় কীভাবে, তা জানতে চেয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। গতকাল নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় ওলামা দল আয়োজিত দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। রিজভী বলেন, কোটা করে নিজেদের লোক ঢোকাতেই আদালতের মাধ্যমে রায় করিয়েছে সরকার। তা মেনে নেওয়া যাবে না। অবিলম্বে সাধারণ ছাত্রদের কোটা বাতিলের দাবি মেনে নিন। না হলে পরিণতি খারাপের দিকে যাবে। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে ভারতের কোনো সমস্যা নেই’-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যেই বোঝা যায়, সরকার অন্য রাষ্ট্রের অধীন রয়েছে। নতজানু ও দাসে পরিণত হয়েছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, দেশ নিজের পায়ে দাঁড়াক, আওয়ামী লীগ সরকার তা কখনোই চায়নি। তারা ক্ষমতায় এসে প্রতিশোধের নীলনকশা বাস্তবায়ন করছে। তারা নিজেদের লোকদের পকেট ভারী করার কাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রীর মাস্টার প্ল্যানে কারাগারে নির্যাতন করায় খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে রয়েছেন দাবি করে রিজভী বলেন, সুস্থ মানুষকে ফরমায়েশি মামলা দিয়ে কারাগারে আটকে রেখে অসুস্থ বানানো হয়েছে। বেগম জিয়া যেন দুনিয়া ছাড়েন, তাই চাচ্ছে সরকার।দেশে রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতি বিরাজ করছে অভিযোগ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, মানুষ এখন জোরে কথা বলতেও ভয় পায়। দুর্বিষহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে পুরো দেশে। গোটা দেশ রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা হারাতে বসেছে। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কাজী মো. সেলিম রেজার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেনের পরিচালনায় দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, সহ-সম্পাদক আবদুল বারী ড্যানি, অর্থনৈতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন।