শিরোনাম
শুক্রবার, ১২ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

প্রতীক পেয়ে প্রচারে প্রার্থীরা

জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের ২২৩ পদে উপনির্বাচন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রতীক পেয়ে প্রচারে প্রার্থীরা

আগামী ২৭ জুলাই অনুষ্ঠেয় স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠান জেলা পরিষদ; পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের ২২৩টি পদে উপনির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় শেষ হয়েছে। গতকাল চূড়ান্ত প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসাররা। স্থানীয় সরকারের ২২৩টি পদে উপনির্বাচনে প্রতীক নিয়ে প্রচারে নেমেছেন প্রার্থীরা। আগামী ১৫ দিন তারা প্রচার কাজ চালাতে পারবেন। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, আগামী ২৭ জুলাই নির্বাচনগুলো অনুষ্ঠিত হবে। এদিন বিভিন্ন জেলা পরিষদের ২৩ টি পদে, পৌরসভার পাঁচটি পদে ও ইউনিয়ন পরিষদের ১৯৫টি পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল অনুযায়ী, প্রতীক বরাদ্দ হয়েছে গতকাল। প্রার্থীরা প্রতীক নিয়েই প্রচারে নেমেছেন। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইন অনুযায়ী, প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে ভোট গ্রহণ শুরু ৩২ ঘণ্টা আগ পর্যন্ত প্রার্থীরা প্রচার চালাতে পারেন। আগামী ২৭ জুলাই সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হবে। সে অনুযায়ী ১১ জুলাই থেকে ২৫ জুলাই মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত ১৫ দিন প্রার্থীরা প্রচার চালাতে পারবেন। এসব নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হবে।

এদিকে দেশের বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বিভিন্ন পদের উপনির্বাচনের আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে বুধবার মাঠে নামছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার হোসেন এ সংক্রান্ত চিঠি সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের পাঠিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ইউপির শূন্য পদের চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য এবং সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদের উপনির্বাচনের উদ্দেশে ২৭ জুলাই অনুষ্ঠানের জন্য সময়সূচি ঘোষণা করেছে ইসি। নির্বাচন উপলক্ষে আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতকরণের জন্য এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ প্রতিরোধ কার্যক্রম গ্রহণার্থে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনের আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতকরণের জন্য একজন করে ১০ জুলাই থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত মোট ১৬ দিনের জন্য এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তিনজন করে ২৬ জুলাই থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত মোট তিন দিনের জন্য এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এ ছাড়া সংরক্ষিত ও সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে উপনির্বাচনে প্রতিটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে দুজন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এবং সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে উপনির্বাচনের জন্য একজন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ২৬ জুলাই থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত মোট তিন দিনের জন্য নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

কোনো ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান/সংরক্ষিত ও সাধারণ ওয়ার্ডের শূন্য পদে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা একজন হলে অর্থাৎ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলে সে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের প্রয়োজন হবে না। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের মধ্য থেকে বা চাহিদা অনুসারে নির্বাচনি এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিতব্য মোবাইল/স্ট্রাইকিং ফোর্স বিশেষ করে বিজিবি-কোস্টগার্ডের মোবাইল টিমের সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করার জন্যও নির্দেশনা দিয়েছে ইসি। তবে স্থানীয় চাহিদা, ভোট কেন্দ্রের অবস্থান ও ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা, ওয়ার্ড বিন্যাস ইত্যাদি বিবেচনায় এবং বাস্তবতার নিরিখে রিটার্নিং অফিসার ও পুলিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্সের সংখ্যা বাড়ানো-কমানো হলে তদানুযায়ী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা যাবে।

সর্বশেষ খবর