শিরোনাম
শুক্রবার, ১২ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

লাগামহীন পিঁয়াজের বাজার

দাম বাড়তে থাকার কারণ হিসেবে সরবরাহ সংকটের কথা বলছেন বিক্রেতারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

লাগামহীন পিঁয়াজের বাজার

এক মাসেরও বেশি সময় ধরে অস্থিরতা বিরাজ করছে পিঁয়াজের বাজারে। কোরবানির ঈদের আগে থেকে দফায় দফায় বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটির দাম। পিঁয়াজের দাম প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকার কারণ হিসেবে সরবরাহ সংকটের কথা বলছেন বিক্রেতারা। ক্রেতারা বলছেন, পর্যাপ্ত পরিমাণে পিঁয়াজ থাকার পরও সিন্ডিকেটের কারণে দাম বাড়ছে। এ ছাড়া কাঁচামরিচসহ সব ধরনের সবজির দাম বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

খিলক্ষেত বাজারের খুচরা বিক্রেতা শামছুল কবির বলেন, দেড় মাস ধরে পিঁয়াজের দাম ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দেশি পিঁয়াজের দাম ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। দেশি পিঁয়াজ প্রতি কেজি ১২০-১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কারওয়ান বাজারের পাইকারি পিঁয়াজ বিক্রেতারা জানান, বর্তমানে প্রতিপাল্লা (পাঁচ কেজি) পাবনা ও রাজশাহীর পিঁয়াজ ৫২০ টাকা থেকে ৫৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফরিদপুরের পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫১০ টাকা থেকে ৫২০ টাকা। আর ভারতীয় পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৯০-৫০০ টাকা পাল্লা। এক সপ্তাহ আগে এ বাজারেই প্রতি পাল্লা পাবনা ও রাজশাহীর পিঁয়াজ ৪৬০ টাকা, ফরিদপুরের পিঁয়াজ ৪২০ টাকা ও ভারতীয় পিঁয়াজ ৪৪০ টাকা বিক্রি হয়েছিল। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের পিঁয়াজের দাম পাল্লায় ৫০-৯০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের পাইকারি পিঁয়াজ বিক্রেতা সবুর রহমান বলেন, এখন বাজারে যে পিঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে সেটি হালি পিঁয়াজ। এ পিঁয়াজ আরও চার-পাঁচ মাস আগে কৃষক ঘরে তুলেছেন। এ পিঁয়াজ এখন শেষের দিকে। তাই কৃষক হাটে পিঁয়াজ কম বিক্রি করছেন।

এদিকে কয়েক সপ্তাহ ধরে বাড়তি দামের পর কিছুটা কমেছে ডিমের দাম। বর্তমানে বাজারে ফার্মের মুরগির লাল ও সাদা ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা। এ ছাড়া প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ১৮০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আলুর দাম এখনো বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি আলু ৬০-৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা কয়েকদিন আগেও ছিল ৫০ টাকা। সবজির বাজারে দেখা যায়, কাঁচামরিচ ২৫০ টাকা কেজি, কাঁচা কলার হালি ৫০ টাকা, গাজর ১৮০, টম্যাটো ১৬০ টাকা, শশার কেজি ৬০ টাকা, কচুর লতির কেজি ৬০-৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, কাকরোল ৮০ টাকা, পটোল ৫০ টাকা, বেগুন ১০০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, কচুরমুখী ১০০ টাকা কেজি, লাউ প্রতি পিস ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহখানেক আগেও এসব সবজির দাম ১০-২০ টাকা কম ছিল। এ ছাড়া শাপলাপাতা বিক্রি হচ্ছে ১৫-৩০ টাকা আঁটি। পাটশাক ১৫ টাকা, কুমড়ো-লাউ-পুঁইশাক ৩০ টাকা, লালশাক ১৫ টাকা এবং কচুশাক ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর