মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নেই, বাড়ছে শঙ্কা

♦ মজুত আছে ৬ মাসের কীটনাশক ♦ ফগার মেশিন আছে ১৫০টি ♦ স্প্রে মেশিন আছে ২৪০টির বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নেই, বাড়ছে শঙ্কা

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) গত বর্ষা মৌসুমে ড্রোন উড়িয়ে ডেঙ্গুর প্রজননস্থল চিহ্নিত করার উদ্যোগ নিয়েছিল। ভবনে ভবনে মশার প্রজননস্থল আছে কি না অনুসন্ধান চালিয়েছিল। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জরিমানা এবং সতর্ক করা হয়েছিল। পরিচালিত হয়েছিল ক্র্যাশ প্রোগ্রাম। চিহ্নিত করা হয়েছিল এডিশ মশার হটস্পট। কিন্তু এ বছর বর্ষা মৌসুমের প্রথম মাস শেষ। ইতোমধ্যেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন অনেকেই, ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। গত ২ জুলাই চসিক ডেঙ্গু নিয়ে একটি সচেতনতামূলক সভা করেছিল। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত কোনো কর্মসূচি-উদ্যোগ দেখা যায়নি। ফলে ডেঙ্গু নিয়ে নাগরিকদের মধ্যে তৈরি হচ্ছে শঙ্কা, আতঙ্ক।

চসিকের ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহি বলেন, মশক নিধনে আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম চলমান আছে। প্রতিদিনই রুটিন ওয়ার্ক চলছে। কীটনাশকেরও কোনো ঘাটতি নেই। বর্তমানে ৬ মাসের কীটনাশক মজুত আছে। তাছাড়া বর্তমানে ফগার মেশিন আছে ১৫০টি এবং স্প্রে মেশিন আছে ২৪০টির বেশি। এই মাস থেকে স্প্রে ম্যানের সংখ্যা আরও বাড়িয়ে মশকনিধন কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে। সামনে ক্র্যাশ প্রোগ্রামও শুরু হবে। চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত বছর ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ১০৭ জন এবং আক্রান্ত হয়েছিলেন ১৪ হাজার ৮৭ জন। চলতি বছর জানুয়ারি থেকে গত ১৪ জুলাই পর্যন্ত আক্রান্ত হন ২৮৯ জন এবং মারা যান তিনজন। জুলাই মাসের ১৪ দিনেই আক্রান্ত হন ৮১ জন। বর্তমানে প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছে।

নগরের ঘাটফরহাদবেগ এলাকার বাসিন্দা শাহেদুল আলম বলেন, বর্ষা মৌসুমের অর্ধেক চলে গেল। ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে। কিন্তু মশা নির্মূলের কোনো কর্মসূচি দেখা যাচ্ছে না। মশারি টাঙিয়েও মশা থেকে বাঁচা যাচ্ছে না।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, বর্ষা মৌসুমের এক মাস শেষ হলো। তবে ডেঙ্গুর প্রকোপের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। বৃষ্টি হলে আবারও ডেঙ্গু আক্রান্তের হার বাড়ার আশঙ্কা আছে। তাই অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের সব ধরনের কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে হবে।

অভিযোগ আছে, চসিক প্রতি বছরই বর্ষার সময় ঢাকঢোল পিটিয়ে মশার ওষুধ ছিটিয়ে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরু করে। কিন্তু অনুষ্ঠানের পর হাতেগোনা কিছু ওয়ার্ড ছাড়া আর কোথাও তাদের স্প্রে ম্যানদের দেখা যায় না। ক্র্যাশ প্রোগ্রাম হয়ে ওঠে অনেকটা অনুষ্ঠাননির্ভর। এ কারণে ক্র্যাশ প্রোগ্রামগুলো ডেঙ্গু মশা নিয়ন্ত্রণে কতটুকু কার্যকর তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার শঙ্কা আছে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর