মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

অভিযানে ধরা পড়ে চুনোপুঁটি নিরাপদে থাকে রাঘববোয়াল!

ভারতীয় বুঙ্গার চিনিতে সয়লাব সিলেট

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

অভিযানে ধরা পড়ে চুনোপুঁটি নিরাপদে থাকে রাঘববোয়াল!

সিলেটে প্রতিদিন ধরা পড়ছে ভারত থেকে অবৈধভাবে আসা চোরাই চিনির চালান। সিলেটে যা ‘বুঙ্গার চিনি’ হিসেবে পরিচিত। কোটি কোটি টাকার চিনি ধরা পড়লেও থামছে না চোরাচালান। অভিযানকালে ট্রাক কিংবা পিকআপের চালক-হেলপার ধরা পড়লেও চালানের মালিক রাঘববোয়ালরা রয়ে যান অধরা।

বুঙ্গার চিনির কারবার অধিকতর লাভজনক হওয়ায় ও মূলহোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় চোরাচালান বন্ধ হচ্ছে না বলে মনে করছে সচেতন মহল। গেল কয়েক মাসে প্রায় শত কোটি টাকার ভারতীয় চিনি আটক হলেও চোরাকারবারিরা এখনো বেপরোয়া। গতকাল ২৪ ঘণ্টায়ও সিলেটে প্রায় ২৭ লাখ টাকার চিনি জব্দ করেছে পুলিশ। আটক হয়েছেন চারজন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেটের গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর ও কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে চোরাকারবারিরা অবৈধভাবে ভারতীয় চিনি নিয়ে আসেন। সীমান্তের ওপারে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে প্রতি কেজি চিনির খুচরা বাজারমূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫৭ টাকা। আর সিলেটের খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩৫ টাকায়। দ্বিগুণের বেশি লাভ হওয়ায় অনেকেই ঝুঁকি জেনেও বুঙ্গার চিনির ব্যবসায় পুঁজি বিনিয়োগ করছেন। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সিলেট ও ঢাকার ব্যবসায়ী এবং রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতারাও রয়েছেন। বুঙ্গার চিনির ব্যবসা অধিকতর লাভজনক হওয়ায় মাঝেমধ্যে বড় চালান ধরা পড়লেও আমদানিকারকদের খুব বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় না। কয়েক দিনের মধ্যেই তারা এ ক্ষতি পুষিয়ে নেন।

চিনি চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযান প্রসঙ্গে সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন, ‘যখনই চোরাচালানের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তখনই অভিযান হচ্ছে। এরই মধ্যে বড় বড় অভিযান হয়েছে। চোরাকারবারের মূলহোতাদের চিহ্নিত করার কাজও করছে পুলিশ।’

সিলেটের পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান জানান, জনপ্রত্যাশা পূরণে জেলা পুলিশ কাজ করছে। তিনি যোগদানের পর চোরাই চিনির কয়েকটি বড় চালান আটক হয়েছে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর