বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

কোটাবিরোধী আন্দোলনরত ছাত্ররাই বীর মুক্তিসেনা

- জি এম কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

কোটাবিরোধী আন্দোলনরত ছাত্ররাই বীর মুক্তিসেনা

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, ছাত্রছাত্রীদের অহিংস কোটাবিরোধী আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করছি। এ যৌক্তিক আন্দোলনে সশস্ত্র বাধাদানের ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি। কোটাবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারী তরুণদের প্রতি আমার অভিনন্দন। তাদের আমি বীর মুক্তিসেনা হিসেবে অভিহিত করতে চাই। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। জি এম কাদের বলেন, বাঙালি জাতির ইতিহাসে সুদীর্ঘকাল থেকে বৈষম্যের মাধ্যমে সৃষ্ট বঞ্চনা, নিপীড়ন, নির্যাতন ও দারিদ্র্যের অভিশাপ প্রচলিত ছিল। বৈষম্যের এ অভিশাপ থেকে মুক্তিলাভের জন্য তারা বারবার সংগ্রাম করেছে, অনেকে আত্মদান করেছে এবং বারবার বিজয়ী হয়েছে। কিন্তু তাদের সে বিজয় প্রতিনিয়ত ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ আমলে ঔপনিবেশিক শাসকরা দেশে সুবিধাভোগী জমিদার শ্রেণি এবং সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিবর্গ সৃষ্টির মাধ্যমে একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠী দ্বারা বাঙালি জাতিকে শোষণ ও লুণ্ঠন করেছে।

পরে বাঙালি জাতি পাকিস্তান সৃষ্টির মাধ্যমে এ বৈমষ্য থেকে মুক্ত হতে চেয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানিরাও সে বিজয় ছিনিয়ে নেয়। বাঙালি জাতি আবার পাকিস্তানি শাসকদের দ্বারা সৃষ্ট বৈষম্য ও তার মাধ্যমে শোষণ, বঞ্চনা, অন্যায়, অবিচার ও দারিদ্র্যের শিকার হতে থাকে। ফলে স্বাধিকার আন্দোলন এবং পরে স্বাধীনতাযুদ্ধের মাধ্যমে এ বৈষম্য থেকে মুক্ত হয়েছিল বাঙালি জাতি।

জাতীয় পার্টির চেযারম্যান বলেন, বর্তমান শাসক শ্রেণি সরকারসৃষ্ট এ সুবিধাভোগী গোষ্ঠীর মাধ্যমে দেশের জনগণকে শাসন-শোষণ করে চলেছে। সামনের দিনগুলোতেও এ উদ্দেশ্য আরও ব্যাপকভাবে বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। কোমলমতি তরুণসমাজ এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। সে কারণে আমি তাদের বৈষম্যমুক্তির এ সংগ্রামের বীরযোদ্ধা বা বীর মুক্তিসেনা বলে মনে করছি। মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ব্যবহার বা অপব্যবহার করে তাদের যেভাবে কলঙ্কিত করা হচ্ছে, তাতে আশঙ্কা হয় ভবিষ্যতে কোনো প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তাদের পরিচয় প্রকাশ করতে সংকোচ বোধ করতে পারেন। কোটাবিরোধী আন্দোলনের দাবিগুলো নীতিগতভাবে মেনে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর