শুক্রবার, ১৯ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে সংঘর্ষে চার মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ ও অস্ত্রবাজির ঘটনায় চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ১৬ জুলাই নগরীর মুরাদপুর ও দুই নম্বর গেট এলাকায় এ সংঘর্ষে তিনজন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন। বুধবার পাঁচলাইশ থানায় তিনটি ও খুলশী থানায় একটি মামলা করা হয়। এসব মামলায় অজ্ঞাতনামা প্রায় ৭ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। গতকাল ভোর ৬টা পর্যন্ত এসব মামলায় ১৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) ভোর ৬টা পর্যন্ত ১৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ৮৮ জনকে এবং বুধবার থেকে ভোর ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ৬২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, পাঁচলাইশ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। মামলায় প্রতিটিতে অজ্ঞাতনামা ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার জনকে আসামি করা হয়। আরেকটি মামলা করেন মুরাদপুরে কোটা আন্দোলনকারীদের মারধরে আহত ইমন ধরের মা সুমি ধর। ওই মামলায় অজ্ঞাতনামা ১০০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়। ২ নম্বর গেট এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় এমইএস কলেজের শিক্ষার্থী শাহেদ আলী বাদী হয়ে ৫০০-৬০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে খুলশী থানায় মামলা করেছেন।

এদিকে মঙ্গলবার কোটা আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষের পর থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিএনপির দুই শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এর আগে বুধবার সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম মহানগর কৃষক দলের আহ্বায়ক মো. আলমগীর ও ছাত্রদলের সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিনসহ বিএনপির ৪০ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তারের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

এ ধরনের গণগ্রেপ্তারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সরকার শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি না মেনে উল্টো হামলা-মামলা, হত্যা ও নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে। তারা চট্টগ্রামে প্রকাশ্য দিবালোকে দুজন শিক্ষার্থীসহ একজন নিরীহ লোককে হত্যা ও শত শত শিক্ষার্থীদের আহত করেছে। যারা প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে শিক্ষার্থীদের হত্যা করেছে তাদের গ্রেপ্তার না করে উল্টো চট্টগ্রামের নিরীহ বিএনপি নেতা-কর্মীদের প্রশাসন গ্রেপ্তার করেছে। সরকার অবৈধ ক্ষমতা দখলে রাখতে প্রশাসনকে নগ্নভাবে ব্যবহার করছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর