শুক্রবার, ১৯ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

বাংলাদেশি দুই ট্রলারকে মিয়ানমার থেকে গুলিবর্ষণ

কক্সবাজার প্রতিনিধি

মিয়ানমারের সংঘাতের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জলসীমায় বিকল্প নৌপথে গত বুধবার ২টায় সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফে আসার সময় ট্রলার লক্ষ্য করে গুলি করা হয়েছে। টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ বদরমোকাম এলাকা অতিক্রমের সময় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন সেন্টমার্টিন সার্ভিস ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আবদুর রশিদ। তিনি জানান, সেন্টমার্টিন থেকে যাত্রা করে এফবি নাইম ও এফবি রাশেদ নামের দুটি ট্রলার। ট্রলার দুটি বিকল্প নৌপথ ব্যবহার করে বঙ্গোপসাগর অতিক্রম করে নাফ নদের মোহনায় প্রবেশ করছিল বেলা ২টার দিকে। এ সময় মিয়ানমার থেকে একের পর এক গুলিবর্ষণ করা হয়। চালকরা কৌশলে ট্রলার চালিয়ে গেলেও টানা আধ ঘণ্টা ধরে ট্রলার দুটিকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এতে কোনো যাত্রী হতাহত না হলেও ট্রলারে গুলি লেগেছে। আড়াইটার দিকে ট্রলার দুটি শাহ পরীরদ্বীপের জেটিতে ভিড়তে সক্ষম হয়। ৭৫ জন যাত্রী নিয়ে বেলা ১২টায় সেন্টমার্টিন যাত্রা করে। ট্রলার দুটি ঘাটে পৌঁছানো পর্যন্ত ওপার থেকে গুলি ছোড়া হয়।

দ্বীপবাসী নতুন করে আতঙ্কিত হয়েছে। কারা গুলি করেছে? উত্তরে আবদুর রশিদ বলেন, যতটুকু জানা গেছে মিয়ানমারের ওপারের অংশটি নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকা আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে। এরাই গুলি করেছে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, দুটি ট্রলারে গুলিবর্ষণের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তাদের সিদ্ধান্তের পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের জেরে ১ জুন বিকালে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা হওয়া পণ্যসহ ১০ যাত্রীর এক ট্রলার লক্ষ্য করে নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকা থেকে গুলিবর্ষণ করা হয়। এ ছাড়া ৫ জুন সেন্টমার্টিনের স্থগিত হওয়া একটি কেন্দ্রে টেকনাফ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদের ফলাফল নির্ধারণের জন্য ভোট গ্রহণ হয়।

আনুষ্ঠানিকতা শেষে ফেরার পথে দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেটসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ট্রলারকে লক্ষ্য করে একই পয়েন্টে ফের গুলি করা হয়। ৮ জুন আরও এক ট্রলারকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয় একই পয়েন্টে। সর্বশেষ ১১ জুন একটি স্পিড বোটকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ হয়। প্রতিটি গুলিবর্ষণের ঘটনাই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ জলসীমায় ঘটেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর