মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

৫০ বাসে ৫ হাজার পর্যটক ফিরলেন নিজ গন্তব্যে

পর্যটন শহর কক্সবাজারে বেড়াতে এসে কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলনের কারণে আটকা পড়া পর্যটকরা জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে নিজ গন্তব্যে ফিরতে পারছেন। কারফিউ জারি করার কারণে কক্সবাজারে প্রায় ১০ হাজার পর্যটক আটকা পড়েছেন। যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় তারা নির্ধারিত সময়ে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে না পেরে ভোগান্তিতে পড়েছেন। ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় এটিএম বুথ, মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় ব্যাঘাত ঘটায় হিমশিম খেতে হচ্ছে। এতে তারা আর্থিক সংকটে পড়েছেন। ফলে খাবার এবং থাকা নিয়ে অসুবিধায় পড়েছেন তারা। এদিকে বিমান চলাচল স্বাভাাবিক থাকলেও টিকিটের দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।  গতকাল সরেজমিন কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, শত শত পর্যটক কারফিউ পাসের জন্য অপেক্ষা করছেন।  গাজীপুর থেকে আসা পর্যটক দম্পতি সুহান ও শাহিনুর বলেন, তারা গত চার দিন আগে কক্সবাজার বেড়াতে আসছিলেন। রবিবার চলে যাওয়ার কথা থাকলেও কারফিউ থাকার কারণে তারা নিজ বাড়িতে ফিরতে পারছেন না। অবশেষে জেলা প্রশাসকের পাসের কথা জানলে তারা জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে কারফিউ পাসের জন্য আসেন। এরই মধ্যে তাদের বাজেট যা ছিল তা শেষ হয়ে গেছে। বাড়ি থেকেও মোবাইল ব্যাংকিংয়ে টাকা নেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে না।  ঢাকার রামপুরা থেকে আসা পর্যটক রাসেল মাহমুদ বলেন, বিমানের টিকিটের দাম দ্বিগুণ নিচ্ছে। বাস নিয়েও বাড়ি ফিরতে পারছি না। এতে গত দুই দিন ধরে কষ্টে আছি। পরে জানলাম জেলা প্রশাসন থেকে পাস নিয়ে যাওয়া যাবে। সে জন্য ডিসি অফিসে এলাম। নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারব বলে আশা করছি।  তবে আটকা পড়া পর্যটকদের জন্য সুখবর দিলেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। আজ (মঙ্গলবার) ৫০টি বাসে করে ৫ হাজার পর্যটক নিজ গন্তব্যে ফিরবেন বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আতাউল গণি উসমানি বলেন, আটকা পড়া পর্যটকদের বিশেষ ব্যবস্থায় নিজ গন্তব্যে ফিরতে পারবেন। মঙ্গলবার ৫০টি বাসে করে ৫ হাজার পর্যটক পৌঁছানো হবে। একই সঙ্গে যাদের প্রাইভেট বা ভাড়া করা গাড়ি যাদের আছে তারাও পাস নিয়ে বাসগুলোর সঙ্গে যেতে পারবেন। এ সুবিধা শুধুমাত্র পর্যটকদের দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের এই কর্মকর্তা। জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, রবিবার এবং সোমবার ৪ হাজারের বেশি পর্যটক পাস নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। মঙ্গলবার ৫০টি বাসে করে আরও ৫ হাজার পর্যটককে সেনাবাহিনীর নিরাপত্তায় পৌঁছানো হবে। এর পরও পর্যটক থেকে গেলে তাদের বিশেষ ব্যবস্থায় পৌঁছানো হবে।

সর্বশেষ খবর