বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

ধ্বংসস্তূপ থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় রংপুর

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

ধ্বংসস্তূপ থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় রংপুর

কোটা আন্দোলনের নামে বৃহস্পতি-শুক্র দুই দিনে দুর্বৃত্তদের তান্ডবে রংপুর মহানগর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল। এখন এ ধ্বংসস্তূপের ভিতর থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো। হামলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ শত কোটি টাকার ওপরে। তান্ডবের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১০টি মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছেন শতাধিক ব্যক্তি।

দুর্বৃত্তদের তান্ডবের সময় নগরের তাজহাট থানায় হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়। কমপক্ষে ৩০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করেছে। আসামি কয়েক হাজার। এ ছাড়া নগরের সেন্ট্রাল রোডে ডিবি কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে কয়েকটি মোটরসাইকেল অগ্নিসংযোগ এবং আসবাবপত্র, কম্পিউটারসহ বিভিন্ন গুরুপূর্ণ সামগ্রী ভাঙচুর করা হয়।

সিটি করপোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিস ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরিবার পরিকল্পনা অফিস, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়, সমবায় মার্কেট, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। এসব ঘটনায় পৃথকভাবে এ পর্যন্ত ১০টি মামলা হয়েছে। রংপুরে মঙ্গলবার কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহত হন। এর পর থেকেই উত্তপ্ত হতে থাকে রংপুর। এর জেরে আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা অনুপ্রবেশ করেন। ছাত্র আন্দোলন পুঁজি করে তৃতীয় পক্ষ রংপুরে বৃহস্পতি ও শুক্রবার ব্যাপক তান্ডব চালায়। অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, লুটপাট চালায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি চালালে সাতজন নিহত হন। এদের কেউ ছাত্র ছিলেন না। রংপুরের এ নারকীয় তান্ডবে হতবাক হয়ে যায় সাধারণ মানুষ। পরে কারফিউ জারি করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও ধ্বংসযজ্ঞের ক্ষত সারতে বেশ সময় লাগবে বলে সুধীজনদের ধারণা। তান্ডবের প্রতিবাদ জানিয়ে গতকাল মেট্রোপলিটন চেম্বার নিজস্ব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে অপরাধীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে। সংবাদ সম্মেলনে চেম্বারের সভাপতি রেজাউল ইসলাম মিলন বলেন, এ পরিস্থিতিতে রংপুরের ব্যবসায়ীদের ৫০০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর