শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

স্থাপনা ধ্বংসকারীরা দেশদ্রোহী

ক্যাপ্টেন তাজ

বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

স্থাপনা ধ্বংসকারীরা দেশদ্রোহী

অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, কোটা আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের মাঝে কৌশলে বিএনপি-জামায়াত প্রবেশ করে আন্দোলনের মোড় ঘুরিয়ে ধ্বংসযজ্ঞের দিকে ধাবিত করে। জনস্বার্থই সরকারের স্বার্থ। দেশে যত উন্নয়ন ও অগ্রগতি তা শুধুই দেশের মানুষের কল্যাণে। তারই ফলশ্রুতিতে সরকার বড় বড় প্রকল্প গ্রহণ করেছে এবং বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। আর সেই স্থাপনাগুলোতে দেশদ্রোহী শত্রুরা ধ্বংসলীলা চালিয়েছে। স্থাপনা ধ্বংসকারীরা দেশদ্রোহী।

গতকাল বাঞ্ছারামপুর উপজেলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের মুসল্লিদের সঙ্গে বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। ক্যাপ্টেন তাজ বলেন, অপরাধীরা নিজেকে যত শক্তিশালীই ভাবুক না কেন আইনের হাতে ধরা দিতেই হবে। পাকিস্তানি আমলের সেই ভয়ংকর গান পাউডার আমাদের গ্রাম থেকে গ্রাম পুড়িয়ে দিয়েছিল। সেই একই কায়দা অবলম্বন করা হয়েছে এবারের ধ্বংসযজ্ঞে। যার ফলে প্রতিটি স্থাপনা, গাড়ি এবং আসবাবপত্র দ্রুত সময়ে জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, এ ধ্বংসযজ্ঞের কারণে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ক্ষতির পরিমাণ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। দেশে এই ধ্বংসযজ্ঞ যারা চালিয়েছে তারা জাতীয় শত্রু এবং দেশদ্রোহী।

তাদের মূল লক্ষ্যই ছিল দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা। স্বাধীনতা পরবর্তীতে এ রকম ধ্বংসযজ্ঞ আর কখনো দেখা যায়নি। তারা আর যাই হোক বাংলার মানুষের কল্যাণ চায় না। তাদের টার্গেট ছিল দেশের স্পর্শকাতর জায়গা ধ্বংস করে দেওয়া।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম, সহসভাপতি সায়েদুল ইসলাম বকুল ভূইয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী জাদিদ আল রহমান জনি, বাঞ্ছারামপুর পৌর মেয়র তফাজ্জল হোসেন, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি সমাপ্ত রঞ্জন সাহা, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছিম, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন টিপু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মাহমুদুল হাসান ভূইয়া, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এম এস রানা, সাধারণ সম্পাদক আ. রাজ্জাক প্রমুখ।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর