শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

প্রতিটি হত্যার নির্মোহ তদন্তের দাবি সুজনের

নিয়মিত ছাত্র সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের তাগিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিরপেক্ষ কমিশন গঠন করে কোটা সংস্কার আন্দোলনে প্রতিটি হত্যার নির্মোহ তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। একই সঙ্গে আন্দোলনের নামে যারা রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে তাদেরও আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।

গতকাল সুজন সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান ও সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারের পক্ষ থেকে উসকানিমূলক বক্তব্য, স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্ধন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের ফলে কোটা সংস্কার আন্দোলনে এত প্রাণহানি ঘটেছে। কোনো স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক দেশে কোনো অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে এত প্রাণহানি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এতে দেশে গণতন্ত্র ও সুশাসনের ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়েছে। প্রতিটি প্রাণই গুরুত্ব¡পূর্ণ। কোনো কিছুর বিনিময়ে তা পূরণ হওয়ার নয়। প্রতিটি হত্যাকান্ডের নির্মোহ তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। একই সঙ্গে আন্দোলনের নামে সহিংসতা চালানো এবং সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া কোনোভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়। যারা রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। তবে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সামর্থ্য ও প্রস্তুতি আরও বাড়ানো দরকার। ঢালাওভাবে মামলা ও গ্রেপ্তার বন্ধের অনুরোধ জানিয়ে সুজনের এ দুই শীর্ষ ব্যক্তিত্ব বলেন, আদালতের নির্দেশনা মেনে কোটা পদ্ধতির সংস্কার করায় সরকারকে ধন্যবাদ। তবে এ আন্দোলন ঘিরে ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের আর যেন নতুন করে হয়রানি করা না হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোয় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয় সেদিকে দৃষ্টি দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। শিক্ষাঙ্গনে শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (সংশোধিত) অধ্যাদেশ ১৯৭২ অনুযায়ী লেজুড়ভিত্তিক ছাত্ররাজনীতির অবসান ঘটিয়ে তরুণদের নেতৃত্ব বিকাশে নিয়মিত ছাত্র সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের তাগিদ দেন তাঁরা।

তাঁরা বলেন, আমাদের আশঙ্কা যে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে যে জনবিস্ফোরণ হয়েছে তা রোগের উপসর্গমাত্র, মূল রোগ হলো ভোটাধিকার থেকে শুরু করে জনগণের অন্যান্য নাগরিক অধিকার না পাওয়ার বঞ্চনা। তাই স্থায়ীভাবে সংকটের নিরাময় ঘটাতে হলে উপসর্গের নয়, রোগের চিকিৎসা আবশ্যক।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর