চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে পোশাক শিল্পের আমদানি করা পণ্য খালাসকালে আরোপিত ‘পোর্ট ডেমারেজ চার্জ’ মওকুফের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। গতকাল পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিজিএমইএর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ও দেশে চলমান সৃষ্ট সংকটের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে আটকে যাওয়া পোশাক শিল্পের আমদানি করা পণ্য খালাসকালে আরোপিত ডেমারেজ চার্জ মওকুফের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। গতকাল বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে তার সচিবালয়ের কার্যালয়ে সাক্ষাৎকালে আরোপিত পোর্ট ডেমারেজ চার্জ মওকুফের বিষয়ে অনুরোধ জানালে এ ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিজিএমইএ প্রতিনিধি দলে ছিলেন প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি রকিবুল আলম চৌধুরী এবং পরিচালক আশিকুর রহমান (তুহিন), পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল।

এ পরিস্থিতিতে বন্দরে কন্টেইনার জট সৃষ্টি হওয়ায় প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী বন্দরে আটকে যাওয়া আমদানি পণ্য খালাসে অতিরিক্ত ডেমারেজ চার্জ দিতে হয়।

এই প্রেেিত বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নানের নেতৃত্বে বিজিএমইএ প্রতিনিধি দলটি গতকাল  নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাাৎ করেন। বন্দরের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত কার্যক্রম নিরবিচ্ছিন্নভাবে সম্পাদন করা এবং ক্রেতার নির্ধারিত লিড টাইমের মধ্যে পণ্য রফতানিতে সহায়তা করার জন্য পোশাক খাতের অপেমান কন্টেইনারগুলো দ্রুত পোর্ট ডেমারেজ চার্জ ব্যতীত খালাসের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানান।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে বিপুল সংখ্যক আমদানি পণ্যবাহী কন্টেইনার খালাসের অপোয় আছে। এগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ কন্টেইনারই তৈরি পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট। এরইমধ্যে প্রায় ১০ কোটি টাকার পোর্ট ডেমারেজ চার্জ তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানিকারকদের ওপর ধার্য করা হয়েছে।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী জাতীয় অর্থনীতিতে পোশাক শিল্পের অবদানের উল্লেখ করে বলেন, তার মন্ত্রণালয় পোশাক শিল্পকে সম্ভাব্য সব সহযোগিতা প্রদান করতে সদা প্র ত রয়েছে।