বুধবার, ৩১ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

অর্থ জোগানে ৬০ ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান

চট্টগ্রামে নাশকতা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করেছে বিএনপি-জামায়াত। পুলিশের ওপর হামলা-ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগে শুধু ইন্ধন নয়, অর্থ জোগানের অভিযোগও উঠেছে ৬০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ব্যক্তি   ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

সিএমপি কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘চট্টগ্রামের নাশকতার অর্থ জোগানদাতা এবং নেপথ্য কিছু হোতার নাম এসেছে আমাদের কাছে। এ নামগুলো যাচাই-বাছাই করছি। এ ছাড়া ঘটনাগুলো তদন্তে কাজ করছে পুলিশের বেশ কয়েকটি ইউনিট। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে অর্থ জোগানদাতা ও হোতাদের আইনের আওতায় আনতে পারব।’

এ বিষয়ে কথা হয় সিএমপির একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে। তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এ ঘটনায় সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের রেখে নেপথ্যে কাজ করেছে বিএনপি-জামায়াত। তদন্তে অর্থ জোগানদাতা ও নেপথ্য হোতার নাম এসেছে কমপক্ষে ৬০ জনের। পাশাপাশি নাশকতায় অংশ নিতে চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে লোকজন এসেছে কয়েকশ। এ ছাড়া বস্তির টোকাইরাও ভাড়া এসে নাশকতায় অংশগ্রহণ করেছে।’

অভিযোগ উঠেছে, পরিকল্পিতভাবে পুলিশ বক্সে আগুন, থানায় হামলা, পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙচুর এবং সরকারি- বেসরকারি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়। চক্রটি তিনটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে কাজ করেছে। এক গ্রুপ ছাত্র আন্দোলনের  আড়ালে দলীয় লোকজন জড়ো করে ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের ইন্ধন দিয়েছে। অপর গ্রুপ পেছনে থেকে নাশকতার নেতৃত্ব দিয়েছে। আরেকটা গ্রুপ অর্থের জোগান দিয়েছে। এ তিন গ্রুপের অন্তত ৬০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম এসেছে আইন  প্রয়োগকারী সংস্থার অনুসন্ধানে। যার মধ্যে রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতা ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নাম। নাশকতায় নেতৃত্ব দিয়েছেন রাজনৈতিক ও অঙ্গ সংগঠনের পদধারী নেতারা। ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডে অংশ নেওয়ার জন্য চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, বাঁশখালী, সীতাকুন্ড এবং মিরসরাই উপজেলা থেকে আনা হয় লোকজন।

এ ছাড়া কক্সবাজারের মহেশখালী, পেকুয়া এবং চকোরিয়ার লোকজনও অংশগ্রহণ করে নাশকতায়। বিভিন্ন উপজেলার লোকজনের পাশাপাশি নগরীর বস্তি থেকে টোকাই ভাড়া করা হয় নাশকতায় অংশ নেওয়ার জন্য।

সিএমপির উপ-কমিশনার (উত্তর) মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার তদন্তে এখন পর্যন্ত যতটুকু জেনেছি এটি পরিকল্পিতভাবেই করা হয়েছে। চট্টগ্রাম নগরী ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলা থেকে লোকজন আনা হয়। এ ঘটনার নেপথ্য হোতাদের চিহ্নিত এবং গ্রেফতার করতে একাধিক ইউনিট কাজ করছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে সবাইকে গ্রেফতারের আওতায় আনা যাবে।’

সর্বশেষ খবর