কোটা আন্দোলন ইস্যুতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ৯ হলের দেড় শতাধিক কক্ষ ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের বেশ কিছু মোটরসাইকেলেও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনায় আন্দোলনকারী ২০ জনের নামসহ অজ্ঞাত অনেকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ছাত্রলীগ। দুর্বৃত্তদের তান্ডবে হলগুলোতে প্রায় ৪ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, হলগুলোতে ভাঙচুরের ঘটনায় প্রায় ৪ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই কর্মকান্ড কোনো শিক্ষার্থীর নয়, দুর্বৃত্তদের কাজ। ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে।
আন্দোলনকারীরা কিছু অংশে বিভক্ত হয়ে শহীদ জিয়া হল, মাদার বখস হল, শাহ মখদুম হল, নবাব আবদুল লতিফ হল, আমীর আলী হল, মতিহার, শেরেবাংলা ও বঙ্গবন্ধু হলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের কক্ষ তল্লাশি ও ভাঙচুর চালায়।
কমিটিকে আট সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, ১৬ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার ও আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। কয়েক শ শিক্ষার্থী প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু হলে বেশকিছু বাইকে অগ্নিসংযোগ করা হয়। শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের কক্ষ থেকে পিস্তলসহ অস্ত্র উদ্ধারের কথা জানান আন্দোলনকারীরা। পরদিন সকালে ফের বিক্ষোভের ডাক দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান মাঠে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ নিয়ে ছাত্রী হলের দিকে যাওয়ার পথে বিক্ষুব্ধ একটি অংশ শহীদ হবিবুর রহমান হলে প্রবেশ করেন এবং ছাত্রলীগ নেতাদের কক্ষ ভাঙচুর ও বিছানাপত্র নিচে ফেলে অগ্নিসংযোগ করেন। এদিনও নেতাদের কক্ষ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করে প্রশাসনের কাছে জমা দেন শিক্ষার্থীরা। ভাঙচুর করা অধিকাংশ কক্ষেই অবৈধভাবে থাকতেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। বাইক ও কক্ষ ভাঙচুরের অভিযোগে আন্দোলনকারী ২০ শিক্ষার্থীসহ অজ্ঞাতদের নামে মামলা করেছে ছাত্রলীগ।