কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে বাড়ি ও বাড়ির আঙিনায় থেকেও গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত শিশুদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাই কোর্টে রিট করা হয়েছে। একই সঙ্গে গুলির ঘটনায় দায়ীদের চিহ্নিত করতে তিন সদস্যের বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত দুটি প্রতিবেদন যুক্ত করে গতকাল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তৈমুর আলম খন্দকার জনস্বার্থে এ রিট করেন। রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে। রিট করার পর তৈমুর আলম খন্দকার সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে আমি এই শিশুদের মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছি। একই সঙ্গে তিন সদস্যের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়েছি রিট আবেদনে।
রিটে যুক্ত করা ২৯ জুলাই প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আহাদ, রিয়া, সামির, হোসাইন, মোবারক, তাহমিদ, ইফাত ও নাঈমা নামের ফুলের মতো শিশুগুলো সবে ফুটছিল। তবে আর বিকশিত হতে পারেনি। বুলেটের আঘাতে ছোট্ট জীবনগুলো ঝরে গেছে কুঁড়িতেই। বাবার কোলের মতো নিরাপদ আশ্রয়েও তাদের আঘাত করেছে ঘাতক বুলেট। আবার কারফিউ মেনে ঘরের কোণে থেকেও কারও জীবনসৌরভ মুছে গেছে বারুদের গন্ধে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে কয়েক দিনের সংঘর্ষে অন্তত ৯ শিশু গুলিতে নিহত হয়েছে। তাদের বয়স ৪ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। ১৮, ১৯ ও ২০ জুলাই তারা গুলিবিদ্ধ হয়। নিহত চারজন মারা গেছে নিজ বাড়িতেই। চারজন গুলিবিদ্ধ হয় সড়কে। সব ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্য, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে প্রাণ গেছে এই শিশুদের। এখনো চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ কিছু শিশু।