মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা
সিলেট যুবদলের হুঁশিয়ারি

বিশৃঙ্খলায় জড়ালে বহিষ্কার

বিক্ষুব্ধ জনতা ও ষড়যন্ত্রকারী মহলের ইন্ধনে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

বিশৃঙ্খলায় জড়ালে বহিষ্কার

সিলেটে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও ধর্মীয় উপাসনালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে যুবদল নেতা-কর্মীরা। নেতা-কর্মীরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িবাড়ি গিয়ে খোঁজখবর নেওয়া থেকে শুরু করে সব ধরনের সহযোগিতা করছেন। যুবদলের এমন কর্মকা  সর্বমহলে প্রশংসিত হচ্ছে। তবে কেউ অতি উৎসাহী হয়ে কোনো ধরনের হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ কিংবা বিশৃঙ্খল আচরণ করলে তাৎক্ষণিক তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। গতকাল সিলেট নগরীর একটি হোটেলের হলরুমে জেলা ও মহানগর যুবদল নেতারা সংবাদ সম্মেলন করে দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি এমন কঠোর বার্তা দিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে যুবদল নেতারা বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে লুটপাট, ভাঙচুর, হামলা, অগ্নিসংযোগের ঘটনার খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে। বিক্ষুব্ধ জনতা ও ষড়যন্ত্রকারী মহলের ইন্ধনে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটেছে। তবে পুণ্যভূমি সিলেটের কোথাও এ ধরনের ঘটনার সুনির্দিষ্ট কোনো খবর পাওয়া যায়নি। অপ্রীতিকর কোনো ঘটনায় যুবদল কিংবা জাতীয়তাবাদী আদর্শের কোনো নেতা-কর্মীর সম্পৃক্ততা নেই।

নেতারা আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে একটি শান্তিকামী ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ার স্বপ্ন-আকাক্সক্ষা আমাদের। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তা বাস্তবায়ন সম্ভব বলে আমরা বিশ্বাস করি। আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিশ্বাসী, প্রতিহিংসায় নয়। বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় গণতান্ত্রিক রাজনীতি চর্চায় বিশ্বাসী। হঠকারিতা, অস্ত্রবাজি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহারের রাজনীতি আমরা আর চাই না। দেশবাসীও এমন রাজনীতি আর দেখতে চায় না।

আন্দোলনে সিলেট জেলা যুবদলের অন্তত ৭০ জন নেতা-কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন এবং এর মধ্যে অর্ধ শত গুলিবিদ্ধ। গুলিবিদ্ধ ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সিলেটসহ সারা দেশে যেসব হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে সেগুলোর বিচার করতে হবে। এ ছাড়া আহতদের সরকারিভাবে চিকিৎসার দাবি জানান যুবদল নেতারা। যুবদল নেতারা বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী, তার গাড়ির ড্রাইভার আনসার আলী এবং ছাত্রদলনেতা ইফতেখার আহমদ দিনার ও জুনেদ আহমদসহ গুম হওয়া সব নেতা-কর্মীর সন্ধান দাবি করেন। যুবদল নেতাদের দাবি, বিগত সরকারের গোপন নির্যাতনশালা ‘আয়নাঘর’ থেকে অনেকেই মুক্তি পাচ্ছেন। তাই তারাও আশাবাদী ইলিয়াস আলীসহ অন্যান্য নিখোঁজ ব্যক্তিও ফিরে আসবেন।

নেতারা আশা করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার স্বল্পতম সময়ের মধ্যে মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করে নির্বাচন দেবে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল আবার জনরায় নিয়ে দেশ পরিচালনা করার প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা যুবদলের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম মোমিন, সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ, মহানগর যুবদলের সভাপতি শাহনেওয়াজ বক্ত চৌধুরী তারেক, সাধারণ সম্পাদক মীর্জা সম্রাট প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর