চট্টগ্রাম নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণে পাঁচ পয়েন্টে দায়িত্ব পালন করেছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। এসব স্থানে তাদের সঙ্গে একজন করে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিও ছিলেন। গতকাল সকাল থেকে পোশাক গায়ে নগরের জিইসি মোড়, আগ্রাবাদ, টাইগার পাস, ওয়াসা ও লালখান বাজার এলাকায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে দেখা গেছে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের। প্রয়োজনে তারা নিউমার্কেট এলাকায়ও কাজ করবেন বলে সিএমপির ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
দায়িত্বে যোগ দেওয়ার পর জিইসি মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের কয়েকজন সদস্যকে পথচারীরা স্বাগত জানান। অনেকে হাত মেলান এবং কোলাকুলি করেন। রজনিগন্ধা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান অজ্ঞাত রোগীর বন্ধু সাইফুল ইসলাম নেসার। তিনি বলেন, ‘অনেক দিন পর রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ দেখে ভালো লাগছে। সবার কাছে অনুরোধ করছি -আপনারা পুলিশের পাশে থাকুন। পুলিশের প্রতি কেউ ক্ষিপ্ত হবেন না, তারাও এ দেশের মানুষ। বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে দরকার।’ আগ্রাবাদ এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মো. নোমান ও মো. সবুর বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীরা এক সপ্তাহ ধরে ভালোভাবেই ট্রাফিকব্যবস্থা সামলেছে। তাদের নিয়ে গর্ববোধ করছি।’
এর আগে রবিবার (১১ আগস্ট) বিকালে দামপাড়া পুলিশ লাইনসের কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় সিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে। দুয়েক দিনের মধ্যে ক্রমান্বয়ে নগরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ আগের মতো কাজ করবে। আমি দেখেছি, শিক্ষার্থীরা কঠোর পরিশ্রম করে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। তাদের এ উদ্যোগ প্রশংসনীয়। নগরের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিটি পয়েন্টে তাদের সঙ্গে একজন করে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিও থাকবেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে শিক্ষার্থীদের ট্রাফিকবিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পুলিশ সদস্যরা পোশাক পরিহিত অবস্থায় দায়িত্ব পালন করবেন।’
