বুধবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

বন্দরে রপ্তানি পণ্যের জট

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

বন্দরে রপ্তানি পণ্যের জট

স্থবির অবস্থা বিরাজ করছে দেশের রপ্তানিতে। সাম্প্রতিক অচলাবস্থার কারণে স্বাভাবিকভাবে কনটেইনার জাহাজিকরণ না হওয়ায় বেসরকারি ডিপোগুলোয় রপ্তানি পণ্য ভর্তি কনটেইনারের স্তূপ তৈরি হয়েছে; যা স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ।

ডিপো মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের (বিকডা) রুহুল আমিন সিকদার বলেন, ‘গত দুই সপ্তাহে দেশে অস্থিতিশীলতার কারণে বেসরকারি কনটেইনার ডিপোগুলোয় রপ্তানি পণ্যের কনটেইনারের জট তৈরি হয়েছে; যা স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ। এ পরিস্থিতি সামলে স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘এমন পরিস্থিতি উত্তরণে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা কিছু পরামর্শও দিয়েছি।’

বিকডার তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বন্দর কেন্দ্র করে পরিচালিত ১৯টি বেসরকারি কনটেইনার ডিপোয় স্বাভাবিক সময়ে রপ্তানির কনটেইনার থাকে সর্বোচ্চ ৮ হাজার টিইইউএস। আর আমদানি কনটেইনার থাকে সর্বোচ্চ ৭ হাজার টিইইউএস। গতকাল বিকাল পর্যন্ত রপ্তানিমুখী কনটেইনার ছিল ১৫ হাজার ৫৭৫ টিইইউএস; যা স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। আমদানি কনটেইনার ৮ হাজার ৩৭৭ টিইইউএস। খালি কনটেইনার রয়েছে ৪১ হাজার টিইইউএস।

জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে রপ্তানি হওয়া পণ্যের ৯০ শতাংশ ব্যবস্থাপনা করে চট্টগ্রামের বেসরকারি ডিপোগুলো। রপ্তানিকারকরা কাভার্ড ভ্যানে পণ্য এনে ডিপোয় রাখেন। সেখানে কাস্টমসের শুল্কায়ন প্রক্রিয়া শেষে রপ্তানিকারকের প্রতিনিধিরা বিদেশি ক্রেতার প্রতিনিধি ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার প্রতিষ্ঠানের হাতে পণ্য বুঝিয়ে দেন। ফ্রেইট ফরোয়ার্ডাররা রপ্তানি পণ্য কনটেইনারে বোঝাই করে বন্দর দিয়ে জাহাজে তুলে দেয়।

ডিপোগুলোয় রপ্তানি পণ্য ছাড়াও খালি কনটেইনার সংরক্ষণ করে। আবার ৩৮ ধরনের আমদানি পণ্য বন্দর থেকে ডিপোয় এনে খালাস করে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর