শনিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

চার সংগঠনের বিলুপ্তি চান সংস্কৃতিকর্মীরা

লেজুড়বৃত্তির অভিযোগ

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, পথনাটক পরিষদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের বিলুপ্তির দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশের সংস্কৃতিকর্মীরা। এ সংগঠনগুলো সংস্কৃতিচর্চার নামে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের লেজুড়বৃত্তি করে সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে কলুষিত করার অভিযোগে এ চার সাংস্কৃতিক সংগঠনের বিলুপ্তি দাবি করেন তারা। মুক্ত ও গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক পরিবেশ নির্মাণের দাবিতে গতকাল বিকালে শিল্পকলা একাডেমির সামনে অনুষ্ঠিত সংস্কৃতিকর্মী সমাবেশ থেকে এ দাবি জানান সংস্কৃতিকর্মীরা। অনুষ্ঠানের শুরুতেই সূচনা বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ থিয়েটারের অধিকর্তা খন্দকার শাহ আলম। নাট্যকর্মী তপন হাফিজের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তৃতা করেন ঢাকা থিয়েটারের কামাল বায়েজীদ, প্রাচ্যনাটের আজাদ আবুল কালাম, বিবর্তন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মফিজুর রহমান লাল্টু, কন্টেম্পোরারি থিয়েটারের মাহবুবুল আলম প্রমুখ। বক্তারা বলেন, সংস্কৃতিচর্চার আড়ালে অনেক সংস্কৃতিকর্মী স্বৈরাচারের তাঁবেদারি করে দেশের সংস্কৃতিচর্চাকে বিতর্কিত করেছেন। আমাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ঘাপটি মেরে থাকা ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের মাত্রাতিরিক্ত তেলবাজির কারণে গোটা সাংস্কৃতিক অঙ্গন কলুষিত। সদ্য সাবেক স্বৈরাচারের দালালি করে সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছেন তারা। সংস্কৃতির  সর্বত্র তারা বৈষম্য সৃষ্টি করেছেন। বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, পথনাটক পরিষদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ একসময় নানা দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করেছিল; কিন্তু বিগত সরকারের কাছ থেকে নানা ধরনের সুবিধা নিয়ে তারা তাদের বিবেককে বিক্রি করে দিয়েছেন। এর খেসারত দিতে হচ্ছে সংস্কৃতিকর্মীদের। গত ১৫ বছরের স্বৈরশাসনে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট,  গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, পথনাটক পরিষদ ও আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ নীরব ভূমিকা পালন করেছে। সরকারের কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে তারা গোটা সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। গুটিকয়েকের লেজুড়বৃত্তির কারণে আজকে আমরা প্রশ্নবিদ্ধ। যার কারণে আমরা লেজুড়বৃত্তিক সংগঠন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, পথনাটক পরিষদ ও আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের বিলুপ্তি দাবি জানাচ্ছি। সারা দেশের সংস্কৃতিকর্মীরা আমাদের এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। তারা আরও বলেন, সব ক্ষেত্রের মতো সাংস্কৃতিক অঙ্গনও বৈষম্যের শিকার। সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি আমাদের সংস্কৃতিকর্মীরাও ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছেন। তারপরও দেশের ২৮টি শিল্পকলা একাডেমিতে হামলার পাশাপাশি আমাদের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে হামলা করা হয়েছে। আমাদের অনেক রাষ্ট্রীয় স্থাপনাও ধ্বংস করা হয়েছে। আমরা সেসবেরও তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর