বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা
মামলায় ডিসি-এসপির নাম না থাকায় ক্ষোভ

রংপুরে নিহতের সংখ্যা কত?

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গত ১৯ জুলাই রংপুরের নারকীয় তাণ্ডব নিয়ে হাজারো প্রশ্নের উত্তর পাচ্ছেন না স্থানীয়রা। এর মধ্যে পুলিশের গুলিতে মোট কতজন নিহত বা কতজন আহত হয়েছেন। কার নির্দেশে এসব হয়েছে। মামলা হচ্ছে কাদের বিরুদ্ধে। মামলায় ডিসি, এসপির নাম নেই কেন। এসব বিষয় নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। যারা প্রকৃত নির্দেশদাতা তাদের নামে কেন মামলা হচ্ছে না। তারা কি প্রভাবশালী কর্মকর্তা। তাই তাদের নাম মামলায় আসছে না। এমন হাজারো প্রশ্ন দেখা দিয়েছে রংপুরের সাধারণ মানুষের মধ্যে।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গত ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে প্রথম শহীদ হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। রংপুরে হাসপাতাল, পুলিশের একাধিক সূত্র মতে, ২০ জন নিহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় এ পর্যন্ত পাঁচটি মামলা হয়েছে। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহেনা, ওবায়দুল কাদের, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, ডিআইজি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ কয়েক শ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তবে কোনো মামলায় জেলা পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসকের নাম উল্লেখ করা হয়নি। এনিয়ে অনেকের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। এদিকে সেই দিনের ঘটনা প্রসঙ্গে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের এসআই মজনু মিয়া তার ফেসবুক আইডিতে ডিসি-এসপিসহ কয়েকজন এ ঘটনায় সরাসরি জড়িত দাবি করে একাধিক পোস্ট দিয়েছেন। তার আইডি নাম ‘মিসির আলী’। তিনি মঙ্গলবার এবং বুধবার দুটি লেখা লেখা পোস্ট করেছেন।

বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া ওই পোস্টে তিনি বলেন, ‘সিটি বাজারের সামনে রেঞ্জ ডিআইজি, পুলিশ সুপার, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে জেলা পুলিশের রায়ট টিম গুলি করেছে।’

 আর মামলা হচ্ছে যারা ঘটনাস্থলে ছিলেন না। এত ফুটেজ, এত মিডিয়া কাভার থাকতে এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে হচ্ছে।’

এদিকে হাসপাতাল সূত্রসহ বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুয়ায়ী কোটা বিরোধী আন্দোলনে নিহত হয়েছেন বেরোবির শিক্ষার্থী আবু সাঈদসহ ১১ জন। যাদের নাম পাওয়া গেছে, তারা হলেন- মেরাজুল ইসলাম, সাজ্জাদ হোসেন, মোসলেম উদ্দিন মিলন মিয়া, মানিক মিয়া, আব্দুল্লাাহ আল তাহির। তবে নিহতদের তালিকায় আতিকুর রহমান, মোজাম্মেল হসেন ও আরমান আলীর নাম শোনা গেছে।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আক্তারুজ্জামান বলেন, আমরা মোট ১১ জনের মৃত্যুর ঘটনা রেকর্ড করেছি। তবে কয়েকজনের স্বজন হাসপাতালে নিহতের নাম রেকর্ড না করিয়ে নিজ দায়িত্বে লাশ নিয়ে গেছেন। তাদের সংখ্যা কত এটা বলা সম্ভব নয়।

 

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর