অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, দুর্নীতিকে কোনো ধরনের প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। কোনো দুর্নীতিবাজের জন্য কোনো ধরনের সুপারিশ গ্রহণ করা হবে না। কৃষকেরা দুর্নীতির কারণে বঞ্চিত হচ্ছে। মধ্যস্বত্বভোগী ও অসাধু শ্রেণির জন্য কৃষক দাম পায় না। ছাত্র-জনতার আন্দোলন শুধু কোটাবিরোধী আন্দোলন নয়, এটা দুর্নীতির বিরুদ্ধেও আন্দোলন।
গতকাল সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থা প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও দপ্তর /সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
কৃষিতে উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে কৃষি উপদেষ্টা বলেন, উৎপাদন বাড়াতে গুণগত বীজ সরবরাহ করতে হবে। যে বীজ কৃষকের কাছে যায়, সেগুলো যেন গুণগত মান সম্পন্ন হয়। বীজের মান ভালো না হলে ফসল ভালো হবে না।সার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সারের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু কৃষকের কাছে সারটা যেন সময়মতো পৌঁছে এটা নিশ্চিত করতে হবে। সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখতে হবে। কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, যান্ত্রিকীকরণের ক্ষেত্রে কৃষকদের কর্মসংস্থানের বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় রাখতে হবে।
মতবিনিময় কালে দপ্তর প্রধানদের কাজের প্রশংসা করে কৃষি উপদেষ্টা বলেন, দেশে যদি কোনো বিপ্লব করে থাকে কৃষি মন্ত্রণালয় করেছে। সাড়ে সাত কোটি লোকের খাদ্য যে জমি দিয়ে উৎপাদন হতো, সে জমির পরিমাণ কমে গেলেও কিন্তু সাড়ে সতেরো কোটি লোকের খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে। এ কৃতিত্ব কৃষি সংশ্লিষ্ট সবার। এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে থেকে কৃষকদের সেবা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন তিনি।