রবিবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

কোনো দলের হয়ে পরিবহন খাত আর ব্যবহার হবে না

ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির ভাষ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

পরিবহন সেক্টরে আর কখনো কোনো চাঁদাবাজি হবে না বলে জানিয়েছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। সংগঠনটি বলছে, অতীতে যখনই যে সরকার ক্ষমতায় এসেছে তারাই পরিবহনের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে লাগামহীন চাঁদাবাজি করেছে। এবার আর সে সুযোগ থাকছে না। কোনো দলের হয়ে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা ব্যবহার হবে না। একটা সুনির্দিষ্ট নীতিমালার আলোকে যাত্রী ও মালিকের স্বার্থ ও অধিকার সংরক্ষণ করেই পরিচালিত হবে দেশের এ খাত।

গতকাল রাজধানীর পরীবাগে বোরাক টাওয়ারে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান নতুন আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক সাইফুল আলম। এ সময় আগামী দিনের পরিবহনের সংস্কার ও অ্যাকশন প্লান সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি। সাইফুল আলম বলেন, যে কোনো মূল্যে বতর্মান সরকারের আমলে পরিবহনের নৈরাজ্য, অরাজকতা ও দখলদারিত্বের অবসান ঘটানো হবে। রাজধানী থেকে দেশের সর্বত্র পরিবহন পরিচালিত হবে একটা সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ও যাত্রী মালিকদের স্বার্থ সুরক্ষায়। এতে কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না। ঢালাওভাবে কেউ চাইলেই এখানে চাঁদাবাজি করে রাতারাতি হাজার কোটি কোটি টাকার মালিক হতে পারবে না। এবারের জুলাই বিপ্লবের পর পরিবহনে আগের কমিটির লুটেরা চক্রের হোতারা গা ঢাকা দেওয়ায় এ সেক্টর নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় ১৪ আগস্ট তলবি সভায় ৩১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। এরপর ১৯ আগস্টের সভায় ঢাকা সড়কের নেতৃত্বে চাঁদাবাজিম্ক্তু জনকল্যাণমুখী সড়ক ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার জন্য সাতটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তা হচ্ছে- সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করে যাত্রীবান্ধব সেবা নিশ্চিত করা, যাত্রীদের নিরাপত্তা ও নিরাপদ সড়ক গড়া, সব টার্মিনালে খরচের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা, মালিক শ্রমিকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করে জনকল্যাণমুখী সড়ক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা এবং প্রতিটি আঞ্চলিক কমিটিতে বৈধ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা।

এক প্রশ্নের জবাবে আহ্বায়ক সাইফুল আলম বলেন, বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস একসময় পরিবহন রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন, যেহেতু তার গাড়ির ব্যবসা ছিল। কিন্তু ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাতের অন্ধকারে তার সব গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ময়মনসিংহে দুটি গাড়ি ভেঙে স্ক্র্যাব হিসেবে বিক্রি করে দেয় চাঁদাবাজরা। তারপর থেকে তিনি আর কোনোভাবেই পরিবহনে যুক্ত নন। ভবিষ্যতেও থাকবেন না। যদিও কয়েকটি মিডিয়া এ নিয়ে গসিপ করছে। আসলে একসময় পরিবহনে যুক্ত ছিলেন বলেই এখনো সংগত কারণেই মিডিয়ায় তার নাম এসে যাচ্ছে।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর