শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:০০ টা

গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য দায়ী নির্বাচন কমিশন

দখল ও ডাকাতির নির্বাচনে আপনি এককভাবে ফলাফল ঘোষণা করেছেন। আপনি কেন পদত্যাগ করেননি?

নিজস্ব প্রতিবেদক

গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য দায়ী নির্বাচন কমিশন

রুহুল কবির রিজভী আহমেদ

দেশে গণতন্ত্র ধ্বংস করার জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি বলেন, দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করায় যারা দায়ী, তার মধ্যে অন্যতম নির্বাচন কমিশন। সাংবিধানিক ব্যবস্থা লঙ্ঘন করার জন্য যারা দায়ী, তাদের আইনের মাধ্যমে বিচারের দাবি জানাচ্ছি। তাদের আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিত।

গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপিপন্থি কৃষিবিদদের সংগঠন অ্যাগ্রিকালচারিস্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (অ্যাব) সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে অ্যাব নেতা কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, কৃষিবিদ রাশিদুল হাসান হারুন, শফিউল আলম দিদার, ড. শফিকুল ইসলাম, নুরুন্নবী ভূইয়া শ্যামল, আনিসুর রহমান আনিস, ড. আকিকুল ইসলাম আকিক, ফেরদৌস হাওলাদার, কে এম সানোয়ার আলম, কৃষিবিদ শাহাদাত হোসেন পারভেজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সমালোচনা করে রিজভী আহমেদ বলেন, দখল ও ডাকাতির নির্বাচনে আপনি এককভাবে ফলাফল ঘোষণা করেছেন। আপনি কেন পদত্যাগ করেননি? আপনার কাছে চাকরিটাই বড় ছিল! দেশ ও রাষ্ট্রের কথা কি মনে ছিল না?

তিনি বলেন, শিশু-কিশোরদের পৃথিবী কাঁপানো আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এক ভয়াবহ দানবের পতন হয়েছে। এ আন্দোলন ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে আসছে বিএনপি, ২০-দলীয় জোট ও সমমনা জোটগুলো। ৫ আগস্টের একটি পটভূমির মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। তাই স্বৈরাচারের দোসরদের সঙ্গে আঁতাত করা মানে শহীদের রক্তের সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে বেইমানি করা।

রিজভী বলেন, একটি রাজনৈতিক দলের অতীতে আঁতাত করা যাদের রেকর্ড আছে, সেই দলের নেতারা ক্ষমা করার কথা বলছেন। গণহত্যাকারীদের কীসের ক্ষমা? গণহত্যাকারীদের ও গণহত্যায় জড়িত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ জড়িতদের অবশ্যই বিচার করতে হবে। এখনো সব অফিস-আদালতে শেখ হাসিনার প্রেতাত্মা রয়েছে। বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর লোকদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, যা জনগণের নজরে এসেছে।

এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, শুধু চারটি পত্রিকা রেখে আওয়ামী লীগ বাকশাল কায়েম করেছিল। এবার ভিন্নরূপে বাকশাল কায়েম করেছিল আওয়ামী লীগ। পত্রিকা বন্ধ করেনি। কিন্তু মালিকানা দিয়েছে আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠদের। তারা সারাক্ষণ আওয়ামী লীগের প্রচারমাধ্যম হিসেবে কাজ করেছে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর